দিনশেষে বর্তমান ফর্মই কথা বলে, লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) তা প্রমাণ হল আবারো। ডাম্বুলার ফ্রাঞ্চাইজির মালিকানার পরিবর্তনের কারণে দলের বিদেশি খেলোয়াড়দের তালিকাতেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। বিশ্বকাপে এবার দুর্দান্ত পারফর্ম করা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়েছেন তাঁরা।
অবশ্য ডাম্বুলার সেই তালিকায় আছে বিশেষ চমক। সেই দলে এবার দেখা মিলবে দুই বাংলাদেশি মুস্তাফিজুর রহমান এবং তাওহীদ হৃদয়ের। তাছাড়াও সেই দলে আরো আছেন ইব্রাহিম জাদরান, রেজা হেন্ড্রিকস, মার্ক চ্যাপম্যান, মোহাম্মদ নবীর নাম। যদিও ফিজ এবং ইব্রাহীম জাদরান ছিলেন সরাসরি চুক্তিতে।
তবে ড্রাফট থেকে কেনা ৪ জনই বাদ পড়েছেন নতুন তালিকা থেকে। আগের লিস্ট থেকে বাদ পড়েছেন – ইফতিখার আহমেদ, হজরতুল্লাহ জাজাই, করিম জানাত , হায়দার আলী। তাঁদের সবাই পারফর্ম্যান্স থেকে ছিলেন বেশ দূরে। বোঝাই যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ডাম্বুলার দলে পরিবর্তন আনতে বেশ ভূমিকা রেখেছে। ডাম্বুলা সিক্সার্স দলে ভিড়িয়েছে ফর্মে থাকা তরুণদের।
বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছেন স্টার বয় তাওহীদ হৃদয়। যখনই নেমেছেন খেলে গিয়েছেন পূর্ণ টি-টোয়েন্টি মেজাজে, রান পেয়েছেন নিয়মিত আর সেটাই বোধ হয় মনে ধরেছে ডাম্বুলা ফ্রাঞ্চাইজির। তাছাড়া গতবছর এলপিএলেই জফনা কিংসের হয়ে কাটিয়েছেন দারুন এক মৌসুম। ছয় ম্যাচেই করেন ১৫৫ রান।
অন্যদিকে, মুস্তাফিজও একের পর এক কাটারে পরাস্ত করে গিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের। দিয়েছেন ডট বল, বাগিয়েছেন উইকেট। এবারের বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে শিকার করেন আটটি উইকেট। এর মাধ্যমেই নজর কেড়েছেন লঙ্কান ফ্রাঞ্চাইজির। দলকে সেমিফাইনালে নিতে না পারলেও, এলপিএলে নিজের জায়গাটা বেশ ভালোভাবেই করে নিয়েছেন।
দুই বাংলাদেশি ছাড়াও অন্যান্য খেলোয়াড়েরাও নিজেদের জায়গা থেকে করেছেন দুর্দান্ত সব পারফর্ম্যান্স। ইব্রাহিম জাদরান তো আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ সব ইনিংস। রান করেছেন প্রায় প্রতি ম্যাচেই।
২০২০ সালে এলপিএলে নিজেদের যাত্রা শুরুকরে ডাম্বুলার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তারপর থেকে এ পর্যন্ত তাঁরা মোট চার বার নিজেদের নাম পরিবর্তন করলো। ২০২০ এ মাঠে নামে ডাম্বুলা ভাইকিংস পরিচয়ে। ২০২১ সালে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ডাম্বুলা জায়ান্টস। আর সর্বশেষ ২০২২ এবং ২০২৩ দুই আসরে তাদের নাম ছিল ডাম্বুলা অরা। ২০২৪ সালে আবার নতুন নাম ডাম্বুলা সিক্সার্স নামে দেখা যাবে ফ্রাঞ্চাইজিটিকে।
ঘন ঘন মালিকানা পরিবর্তনের রহস্য উদঘাটনে পাওয়া যায় ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। অবশ্য দলের এই পরিবর্তনই বলে দিচ্ছে এলপিএলের শিরোপাই হবে ডাম্বুলা সিক্সার্সের লক্ষ্য। কেননা কাগজে কলমে যে তাঁরা সাজিয়েছে বেশ শক্তিশালী দল। ফর্মে থাকা খেলোয়াড়েরা লঙ্কান এই টুর্নামেন্টে কতখানি জ্বলে উঠতে পারেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।