একটি জয়ের জন্য কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিল আফগানরা, তা মাঠে তাঁদের শারীরিক ভঙ্গিতেই দৃশ্যমান ছিল। ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি আফগানদের নতুন অস্ত্র হিসেবে যুক্ত হয়েছে, অভিনয়। আর তাতেই যেন শুরু হয়েছে কড়া মন্তব্যের ঝড়।
ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন বরাবরই ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে সোচ্চার। সোচ্চার হলেন তিনি গুলবাদিন নাইব ইস্যুতেও। মনে করেন, মাঠেই গুলবাদিনকে লাল কার্ড দেখানো উচিৎ।
ভারতের তারকা স্পিনার রবীচন্দ্রন আশ্বিন তাঁর ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘গুলবাদিনের জন্য লাল কার্ড।’ আর তা দেখার পরেই, আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব সেই মন্তব্যের জবাব দেন। তিনি লিখেন, ‘কাভি খুশি, কাভি গামমে হোতা হ্যায় হ্যামস্ট্রিং!’
যদিও বাংলাদেশের বিপক্ষে সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রশিদ খান বাহিনী জয়ের স্বাদ পায়। তবে বাংলাদেশের ইনিংসের ১২ তম ওভারে আফগান অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবের কাঁচা অভিনয় নজরে পড়েছে সবার।
বাংলাদেশ তখন ১৯ ওভারে ১১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছিল। সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ সবে ৮১ রান জমা করছে। তখনই আফগান কোচ জোনাথন ট্রট ইশারা দিয়ে ম্যাচের গতি কমাতে বলেন। কেননা, ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ তখনও পিছিয়ে ছিল। সেই সুযোগ তাই লুফে নিতে চাইছিল তাঁরা।
কোচের ইশারা পাওয়া মাত্রই নিজের পায়ে চাপ দিয়ে ধরে ব্যথার যন্ত্রণার দুর্বল অভিনয় শুরু করেন গুলবাদিন। সাথে সাথে মাঠে ফিজিওরা প্রবেশ করেন। অথচ এর আগে একবারের জন্যে অসুস্থ মনে হয় গুলবাদিনকে। আর এই ঘটনাই চড়াও হয়েছে চারিদিকে। মন্তব্য করেছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক ধারাভাষ্যকার।
যদিও উভয়ে বেশ মজার ছলে মন্তব্য করেন। গুলবাদিন নাইবের এই অপরিপক্ক অভিনয়, আফগানদের বীরত্বের প্রশংসার পাশাপাশি, হাস্যরসের পাত্র পরিণত করলো। অবশ্য আগামী ম্যাচেগুলোতে নিশ্চয়ই আর হাসির পাত্র হতে পরিণত হতে চাইবে না আফগানরা।