ইনিংসের শেষ ওভার, শিরোপা জিততে দক্ষিণ অফ্রিকার দরকার ১৬ রান। স্ট্রাইকে তখন প্রোটিয়া ভরসা ডেভিড মিলার। হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই জুসি ফুলটস সজোরে হাকান তিনি। বাউন্ডারি লাইন পেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বলটির, তবে সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সুরিয়াকুমার যাদব। বাউন্ডারি লাইন থেকে হয়ত সেন্টিমিটার দূরত্বও হবেনা। এমন পজিশন থেকে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ লুফে নেন সুরিয়া।
শুধু ক্যাচই নয়; সেইসাথে ম্যাচটাও ভারতের হয়ে তালুবন্দি করেন তিনি। কারণ মিলারের সাথে তখন প্যাভিলিয়নের দিকে পা বাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ স্বপ্ন। বাকি পাঁচ বলে মাত্র ৮ রান নিতে সক্ষম হয় মাহরাজ-রাবাদা। ফলে ৭ রান জয়ী হয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় ভারত।
এবার এই ক্যাচ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা বললেন সুরিয়া। তিনিও প্রথমে ভেবেছিলেন যে তাঁদের বিশ্বকাপ শিরোপা বাউন্ডারি লাইনের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। ভারতীয় তারকা বলেছিলেন যে তিনি ক্যাচ নেওয়ার সময় নিজের হাতে থাকা জিনিসগুলি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন এবং বাতাসও তাঁকে সহায়তা করেছিল। সুরিয়াকুমার আরও উল্লেখ করেন যে অনুশীলনের তাঁরা এই ধরণের ক্যাচ নিয়ে থাকেন।
সুরিয়াকুমার বলেন, ‘এখন এটা বলা সহজ। তবে তখন মনে হচ্ছিল ট্রফিটি বাউন্ডারি পেরিয়ে ওপারে চলে যাচ্ছে। কিন্তু হ্যাঁ, সেই মুহূর্তে আপনি মনে করবেন না, বলটি বাউন্ডারি পেরিয়ে ছয় হবে। যা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল তা আমি চেষ্টা করেছি এবং সে মুহূর্তে বাতাস আমাকে কিছুটা সাহায্য করেছিল। আমরা আমাদের ফিল্ডিং কোচের সাথে অনুশীলনে এমন অনেক ক্যাচ নিয়েছি। তাই যখন এধরনের খেলার কথা আসে, তখন আমাদের উপস্থিত বুদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সুরিয়াকুমার আরও বলেন যে একটি মুহূর্ত ছিল যখন তাঁরা অনুভব করেছিলেন যে খেলাটি তাঁদের থেকে সরে যাচ্ছে। তবে তাঁর বিশ্বাস ছিল যে জাসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং খেলা তাঁদের পক্ষে ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
এই সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি মজার খেলা। এটি দুর্দান্ত এবং শেষ বলটি না করা পর্যন্ত খেলাটি শেষ হয় না। একটি মুহূর্তে আমরা অনুভব করেছিলাম যে তাঁদের জয় এবং আমাদের জয়ের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। কিন্তু আপনি নিজেকে মনে করিয়ে দেন গতো দুই মাস এবং ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২ বছর আপনি যে সমস্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। শেষ ৫-৬ ওভার আমার মাথার মধ্যে এসব চলছিল। তবে আমাদের কাছে বুমরাহর ২ ওভার ও আর্শদীপের ১ ওভার ছিল। যারা তাঁদের জায়গায় শীর্ষে ছিল। তাই আমার বিশ্বাস ছিল যে তাঁরা খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারবে।’