ভবিষ্যৎ নেতার নেতাসুলভ ব্যাটিং

প্রথমবারের মত ভারতীয় দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজটা তাই শুভমান গিলের জন্য বড্ড জরুরি ছিল। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাট হাতে, হয়তো অধিনায়কত্বের চাপটা ঠিকঠাক সামলাতে পারেননি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ঠিকই ঘুরে দাঁড়াতে দেখা গেলো তাঁকে; খেললেন নেতাসুলভ এক ইনিংস, দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেন।

আইপিএল দিয়ে অধিনায়ক গিলের আবির্ভাব ঘটেছিল। এর আগ থেকেই অবশ্য তাঁকে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপের ‘নেক্সট বিগ থিঙ’ ভাবা হয় – দুইয়ে মিলিয়ে ভারতের ভবিষ্যৎ ক্যাপ্টেন হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছেন তিনি, সেই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়কত্ব পান গিল।

টিম ম্যানেজম্যান্টের এমন সিদ্ধান্ত যে যৌক্তিক সেটার প্রমাণ একটু দেরিতে হলেও দিয়েছেন এই ব্যাটার। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৯ বলে ৬৬ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন তিনি; তাতেই বড় রানের ভিত্তি পেয়ে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া।

অভিষেক শর্মা নয়, এদিন ওপেনিংয়ে ডানহাতি গিলের সঙ্গী হন যশস্বী জয়সওয়াল। সঙ্গী পাল্টে বদলে যায় ভাগ্য, রিচার্ড এনগারাভাকে চার মেরে রানের খাতা খোলেন তিনি। একই ওভারে আরো দশ রান আদায় করেছেন। অন্যপ্রান্তে জয়সওয়ালের আগ্রাসী ব্যাটিং তাঁকে একটুও চাপে পড়তে দেয়নি।

পাওয়ার প্লে শেষ হলে বাউন্ডারির পরিবর্তে স্ট্রাইক রোটেটের দিকে মনোযোগী হন ভারতীয় অধিনায়ক। দ্রুত দুই উইকেটের পতন ঘটলেও টলানো যায়নি তাঁকে। এরই মধ্যে ৩৬ বল খেলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি; তারপর অবশ্য হাত খুলেই খেলার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন, ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে তাঁর।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্কোয়াডে জায়গা পাননি এই তারকা, তবে নির্বাচকদের ভাবনায় ঠিকই ছিলেন। এবার রোহিত, বিরাটদের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এখন সুযোগ কাজে লাগানোর পালা। ধারাবাহিকভাবে পারফরম করতে পারলে একাদশে জায়গা তো পাবেনই হয়তো একদিন নিয়মিত ভারতের অধিনায়কত্বও করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link