ক্রিকেটে বল যেন তাঁর হাতের তুলি, আর সেই তুলি দিয়ে তিনি এঁকেছেন উইকেট নামক অসংখ্য চিত্র। সুনিপুণ হাতে তিনি দেখিয়েছেন তাঁর শৈল্পিক গুণাবলী।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন তাঁর অভিষেক ঘটেছিল, সেই একবিংশ শতাব্দীর সূচনা লগ্নে, তখন তাঁর বর্তমান সতীর্থদের অনেকেই সদ্য হাটতে শেখা শিশু। কিংবা সবে পা দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে। এই ২১ বছরে নানা ধরনের হাজারো ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কত শত ব্যাটার ২২ গজে দেখিয়েছেন দাপট, তবে অ্যান্ডারসন এলেই যেন নড়েচড়ে বসতে হতো তাঁদের।
অ্যান্ডারসন যেন আদি সংস্করণের আদর্শ এক বিজ্ঞাপন। বেদনাদায়ক হলেও সত্যি যে, এই ডান হাতি বোলারের এমন ঝলক আর দেখা যাবে না ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে। তোলা হয়ে থাকবে সেই জার্সি, স্মৃতির পাতায় রয়ে যাবে তাঁর সব শিল্প।
তাঁর এই বিদায় বেলায় যেন লর্ডসের চারপাশ থেকে অদৃশ্য এক করুণ সুরে ধ্বনিত হচ্ছিল, যেতে নাহি দিব হায়, তবু চলে যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়। বিদায় জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসন, বিদায় কিংবদন্তী; দেখা হবে নতুন কোনো ঠিকানায়, নতুন কোনো ভূমিকায়।