ক্রিকেটারদের শৃঙ্খলার ব্যাপারে আরো সতর্ক হতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাই শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নতুন করে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে তাঁরা। চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ওপর নজরদারি বাড়াতে বিশেষায়িত কমিটি গঠন করা হয়েছে; এমনকি টিম ম্যানেজার ও হেডকোচের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ইন্টেলিজেন্স এজেন্টকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিটি ক্রিকেটারের আচরণবিধির ওপর তিনটি স্বতন্ত্র প্রতিবেদন তৈরি করা হবে; যেগুলো তৈরি করবেন কোচ, টিম ম্যানেজার এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি।
যেই কমিটি গঠন করা হয়েছে, মূলত তাঁরাই এসব প্রতিবেদন দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জানা গিয়েছে, সাবেক একজন অধিনায়ককে কমিটির প্রধান করা হবে। বাকিরাও সাবেক ক্রিকেটার হবেন সেই সম্ভাবনাই বেশি। তাঁরা একইসঙ্গে সকল প্রমাণ সাপেক্ষে নিজেদের মতামত জানাবেন।
খেলোয়াড়দের শৃঙ্খলা পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গণমাধ্যমে কথা বলা থেকে শুরু করে ড্রেসিরুমে সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে বার বার ভুল করেছেন অনেকেই। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও ড্রেসিংরুমে বিভাজন দেখা দিয়েছিল, যার ফলে দলের ভাবমূর্তি যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি পারফরম্যান্সেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
তাই এবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে পিসিবি, তিন স্তরের নিরাপত্তা দিয়ে ক্রিকেটারদের শৃঙ্খল বন্দি করতে যাচ্ছে তাঁরা। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে যেন পক্ষপাতিত্ব বা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ না ওঠে সেজন্যই মূলত কোচ, সাবেক অধিনায়কদের দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
এখন দেখার বিষয়, এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে পাকিস্তান ক্রিকেটের কতটুকু উন্নতি হয়। কাগজে-কলমে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেটা বাস্তবে করে দেখাতে পারলে অবশ্য সফলতা মিলবে। আপাতত সেটা দেখার অপেক্ষা করছে ক্রিকেট সমর্থকরা।