ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হবে আর দুনিথ ওয়েলেলাগে অতিমানবীয় পারফরম করবেন এটা যেন প্রতিদিন সকালে সূর্য ওঠার মতই চিরায়ত সত্যে পরিণত হয়েছে। যতবারই ভারতের মুখোমুখি হয়েছেন, ততবারই নিজের একশত দশ ভাগ উজাড় করে দিয়েছেন; দল জিতুক বা হারুক তিনি বরাবরই থাকেন উজ্জ্বল। ব্যতিক্রম হয়নি চলতি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও।
২০২৩ এশিয়া কাপে এই অলরাউন্ডার ছিলেন আনকোরা একজন, অথচ সুপার ফোরের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে একাই পাঁচ উইকেট তুলে টিম ইন্ডিয়ার নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া এ সিরিজের আগের ম্যাচেও ব্যাটে-বলে রীতিমতো ভারত বিজেতা হয়ে উঠেছেন।
এদিন সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অবশ্য ব্যাট হাতে কিছু করতে পারেননি এই বাঁ-হাতি; সেই ক্ষোভ মিটিয়েছেন বল হাতে। মাত্র ৫.১ ওভার হাত ঘুরিয়ে শিকার করেছেন পাঁচ পাঁচটি উইকেট। মাহিশ থিকসানা আর জেফ্রে ভেনডারসের সঙ্গে মিলে রোহিত শর্মাদের ১১০ রানের বিশাল পরাজয়ের স্বাদ দিয়েছেন তিনি।
লঙ্কান অধিনায়ক জানতেন ওয়েলেলাগে কি করতে পারেন, সেজন্য পাওয়ার প্লেতেই তাঁকে বোলিংয়ে নিয়ে আসা হয়। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই রোহিতের উইকেট তুলে নিয়ে সেই ভরসার প্রতিদান দেন তিনি। পরের ওভারে বিরাট কোহলি এবং এর পরের ওভারে অক্ষর প্যাটেল আর শ্রেয়াস আইয়ার আটকা পড়েন তাঁর ফাঁদে।
ভারতের তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা; এরপর অনেক চেষ্টা করেও পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি তাঁদের পক্ষে। শেষদিকে কুলদীপ যাদবকে আউট করে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন লঙ্কান তরুণ – এর মধ্য দিয়ে দলের জয়ও নিশ্চিত হয়।
টিম ইন্ডিয়ার জন্য রীতিমতো রহস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। দলটির বিপক্ষে মাত্র আটটি ওয়ানডে খেলেই দুই দুইবার পাঁচ উইকেট প্রাপ্তির গৌরব অর্জন করেছেন, এছাড়া তাঁর প্রথম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি এসেছে ভারতের বিপক্ষেই। পরবর্তীতে যেকোনো মঞ্চে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি দাঁড়াতে হলে কোহলি, আইয়ারদের আগে ভেদ করতে হবে ওয়েলেলাগে-রহস্য।