ভারতের বেঙ্গল দলে একপ্রকার অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। মাঝে অবশ্য অটুট বন্ধনেও চিড় ধরেছিল। ঋদ্ধিকে যেতে হয়েছে নিজের ঘর ছেড়ে। বছর দুই পর সেই ঋদ্ধিই আবার ফিরলেন নিজ ঘরে। আসন্ন রঞ্জি ট্রফিতে তিনি খেলতে চলেছেন বেঙ্গল দলের হয়ে।
সেই ২০০৭ সাল থেকে শুরু। এরপর দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেঙ্গল দলের সাথেই উচ্চারিত হয়েছিল ঋদ্ধিমানের নাম। এরপর অবশ্য একপ্রকার অস্বস্তি নিয়েই তাকে ছাড়তে হয়েছিল দল। কেননা তার বিপক্ষে উঠেছিল অনীহার অভিযোগ।
তিনি নানা অজুহাতে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ না খেলার বাহনা করতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। সে দায় নিয়ে তিনি পরবর্তীতে ত্রিপুরা রাজ্য দলের হয়ে নিজের ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যারিয়ার চালিয়ে যান। দুই মৌসুম সেখানেই কাটিয়েছেন।
এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবার বেঙ্গল রাজ্য দলের খেলার। নিজের সেই সিদ্ধান্তের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। এখন তিনি তার পূর্ণ মনোযোগ দিচ্ছেন নিজের ফিটনেসের উপর। তিনি বলেন, ‘১৫ বছর বেঙ্গল দলের হয়ে খেলার পর আমি ত্রিপুরার হয়ে খেলেছি দুই বছর। এখন আবার আমি ফিরেছি বেঙ্গল দলে খেলার জন্যে।’
তিনি এখন তার পুরো মনোযোগটাই দিতে চাইছেন প্রস্তুতি ক্যাম্পে। নিজেকে যাচাই-বাছাই করবেন। নিজের সক্ষমতাকে ঝালাই করে নেবেন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলবেন কি-না।
মহেন্দ্র সিং ধোনির সমসাময়িক হওয়ায় জাতীয় দলে লম্বা সময় ধরে খেলার সুযোগ তিনি অবশ্য পাননি। তবুও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি উজ্জ্বল ছিলেন। প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে প্রায় সাত হাজারের উপর রান রয়েছে তার নামের পাশে। ভারত দলে তার ক্যারিয়ার লম্বা না হওয়ার একটা আক্ষেপ নিশ্চয়ই আছে তার।
কিন্তু পরবর্তী সময়ে ভারত জাতীয় দলে উইকেটরক্ষক ব্যাটারের চাহিদা বদলে গেছে। কিন্তু ঋদ্ধিমান ছিলেন বড্ড বেশি ‘ট্রেডিশনাল’। ঠিক সে কারণেই হয়ত জাতীয় দলের দরজাটা তার জন্যে ছিল অবরুদ্ধ। নতুন করে সে দুয়ার উন্মোচিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবুও ঋদ্ধি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফিরবেন না হয়ত তবুও।