বার্সা ছেড়ে আবার ম্যানচেস্টারে যাচ্ছেন গুন্দোয়ান

পাঁচ বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। ম্যান সিটির দীর্ঘদিনের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খরা কাটাতে তিনি সচেষ্ট ভূমিকাই রেখেছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটির মাঝ মাঠের কাণ্ডারিতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নতুনত্বের স্বাদ নিতেই স্পেনের পানে ছুটেছিলেন। যদিও তাঁর সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যান সিটির। 

এই তো সেদিনের কথা। গেল মৌসুমেই বার্সেলোনাতে যোগ দিয়েছিলেন এলকাই গুন্দোয়ান। তবে এক মৌসুম যেতে না যেতেই গুঞ্জন হয়েছে প্রবল। এলকাই গুন্দোয়ান আবারও ফিরতে চলেছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। দলবদলের মৌসুমে নানান গুঞ্জন মাথা চাড়া দেয়। তেমন এক গুঞ্জনেই এবার গুন্দোয়ানও জড়িয়ে গেলেন।

এমন কি পেপ গার্দিওলা ইতোমধ্যেই সম্মতি জানিয়েছেন। তাকে ফেরত আসার সুযোগ দিতে চান পেপ। সেই ১৬/১৭ মৌসুমে তিনি পা রেখেছিলেন ইংল্যান্ডের মাটিতে। স্বদেশী ক্লাব বুরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে তিনি এসেছিলেন ইংরেজ জায়েন্টদের ডেরায়। এরপর সুখে শান্তিতেই দিনাতিপাত করেছেন গুন্দোয়ান।

পাঁচ বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি। ম্যান সিটির দীর্ঘদিনের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খরা কাটাতে তিনি সচেষ্ট ভূমিকাই রেখেছিলেন। ম্যানচেস্টার সিটির মাঝ মাঠের কাণ্ডারিতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নতুনত্বের স্বাদ নিতেই স্পেনের পানে ছুটেছিলেন। যদিও তাঁর সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ম্যান সিটির।

নতুন কোন চুক্তির প্রতি আগ্রহও দেখায়নি ক্লাব। সে কারণে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বার্সেলোনাতে গিয়েছিলেন গুন্দোয়ান। সেখানে এক মৌসুম খুব একটা খারাপ কাটেনি তার। যদিও শিরোপার ধারেকাছে যেতে পারেনি ক্লাবটি। সেখানে যতটা না দায় গুন্দোয়ানের, তার থেকেও বেশি দায় পুরো ক্লাবের। দল হিসেবেই বার্সেলোনা ধুঁকছে বহুদিন ধরে।

যদিও এর মধ্যে বিশাল পরিবর্তন এসেছে বার্সেলোনায়। কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন হ্যান্সি ফ্লিক। তাছাড়া তারুণ্য নির্ভর একটা দলে অভিজ্ঞ গুন্দোয়ান হতে পারতেন তুরুপের তাস। কিন্তু ইতোমধ্যেই বেশ কিছু প্রস্তাব পেতে শুরু করেছেন। ম্যান সিটি বোর্ডও তাকে ফিরিয়ে আনতে চাইছে।

ঠিক সে কারণেই গুঞ্জন প্রবল হয়েছে। যদিও গুন্দোয়ানকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে সৌদি ও কাতারের বেশ কিছু ক্লাব। সেদিক বিবেচনায় বেশ প্রলোভন জাগানিয়া প্রস্তাবই হয়ত রয়েছে তার জন্য। কিন্তু সেসবকে পাশ কাটিয়ে আবারও ম্যানচেস্টার সিটিতে গুন্দোয়ান ফিরবেন কি-না সেটা সময়ই বলে দেবে।

গুন্দোয়ানের বয়সটা ৩৩ এখন। এই বয়সে এসে নতুন করে চ্যালেঞ্জ না নেওয়ার একটা প্রবণতা ইদানিং দেখা দিয়েছে ফুটবলারদের মধ্যে। সে সুযোগ লুফে নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশের ক্লাবগুলো। খেলোয়াড়দের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছে বিশাল অংকের প্রস্তাব। তেমনই এক প্রস্তাবে গা ভাসাবেন গুন্দোয়ান?

Share via
Copy link