পাকিস্তান বোধহয় একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী ছিল, চার পেসার দিয়ে বাংলাদেশকে তাসের ঘরের মত গুঁড়িয়ে দিতে পারবে এমনটাই ধারণা ছিল তাঁদের। তাই তো প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রান করেই ডিক্লেয়ার করে বসে তাঁরা, অথচ হাতে তখনও চার উইকেট। শেষমেশ সেটাই কাল হয়েছে দলটার জন্য, সাদমান, মুশফিকদের দৃঢ়তার পর দ্বিতীয় ইনিংসের নাটকীয়তায় দশ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এর মধ্য দিয়ে অপ্রত্যাশিত সব রেকর্ডে নিজেদের নাম লিখিয়েছে স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার করার পরও দশ উইকেট হারের লজ্জা পেয়েছে তাঁরা।
এতদিন অবশ্য এই রেকর্ড এককভাবে দখলে রেখেছিল ভারত। ১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩০৬ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর ইনিংস ঘোষণা করেছিলেন অধিনায়ক বিষাণ সিং বেদী, পরবর্তীতে দশ উইকেটে হেরে প্রথম দল হিসেবে লজ্জার সাগরে ডুব দেন তাঁরা। যদিও এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশীকেই সঙ্গী হিসেবে পেলেন।
সবমিলিয়ে ডিক্লেয়ার করেও ম্যাচ হারার এটি সতেরোতম উদাহরণ। এর মধ্যে পাকিস্তানই তিন বার এমন স্বাদ পেয়েছে। মজার ব্যাপার, প্রথম দল হিসেবে ইনিংস ঘোষণা করেও হেরেছিল তাঁরাই। ১৯৬১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৮৭/৯ এ ডিক্লেয়ার করে দলটি কিন্তু পাঁচ উইকেটে তাঁদের হারিয়ে দেয় ইংলিশরা।
এত কিছুর পরও নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ঘরের মাঠে কখনোই দশ উইকেটে হারতে হয়নি পাকিস্তানকে, কিন্তু সেই রেকর্ডও জিইয়ে রাখা গেল না। অন্যদিকে, বাংলাদেশ পেয়েছে নিজেদের ইতিহাসে প্রথম দশ উইকেটের জয়।
এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ হেরে বসেছে শান মাসুদরা। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৩-০ এ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর পুনরায় বাংলাদেশের কাছে পর্যুদস্ত হলো তাঁরা। এখন দেখার বিষয় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয় কি না তাঁদের পক্ষে, নাকি আবারো মাঠ ছাড়তে হয় বিষণ্ণ মুখে।