Social Media

Light
Dark

দানি অলমো যেন এক ফিনিক্স পাখি

রীতিমত ট্রান্সফার মার্কেটে বিরাট ওলট-পালট করে বার্সেলোনায় ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই নায়ক। এভাবেও ফিরে আসা যায় তাহলে!

সেই ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের পর থেকে রায়ো ভায়াকানোর মাঠে জয় নেই বার্সেলোনার। দলের চারজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ডি ইয়ং, রোন্যাল্ড আরাউহো, ক্রিস্টেনসেন আর গাভি ইনজুরিতে।

এখানেই শেষ নয়, প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে বার্সেলোনা। তবুও জিতলো হ্যান্সি ফ্লিকের দল। জিতলো একদিন আগেও লা লিগায় খেলোয়াড় রেজিস্ট্রেশন নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকা দানি অলমোতে ভর করে।

ম্যাচের শুধু দ্বিতীয়ার্ধেই তিনি খেলেছেন। আর যা খেললেন, তাই চোখকে ছানাবড়া করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। নিবন্ধন জটিলতা কাটিয়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল করলেন দানি অলমো।

অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে অভিষেক ম্যাচেই ম্যাচসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন, প্রথম ম্যাচেই তিনি বার্সেলোনার ত্রাণকর্তা। রূপকথার এমন সূচনা দানি অলমো নিজেও কি ভেবেছিলেন!

শুরুতে গোল হজম আর প্রথমার্ধে বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল বার্সেলোনা। টানা তৃতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল হান্সি ফ্লিকের দল। লা লিগা শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে দানি অলমোর হাত ধরে বেশ মোক্ষম অবস্থানেই আছে কাতালানরা।

রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের নবম মিনিটে গোল করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন উনাই লোপেস। তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৬০তম মিনিটে গোল করে বার্সাকে পেদ্রি সমতায় ফেরানোর পর ৮২তম মিনিটে দানি অলমোর গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কাতালানরা।

লিপজিগ থেকে দলে ভিড়িয়েও অলমোকে লা লিগায় নিবন্ধন করাতে পারছিল না বার্সেলোনা। এমনকি পুরো মৌসুমই ঝুঁকির মুখে পড়ে। সেই দানি অলমোই অভিষেক ম্যাচে মাঠে নেমে পার্থক্য গড়ে দিলেন।

বার্সেলোনার অ্যাকাডেমি লা মাসিয়াতেই বেড়ে উঠেছিলেন স্প্যানিশ এই তারকা। ২০১৪ সালে তনি ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জাগরেবে যোগ দেন। এরপর ২০২০ সালে যোগ দেন আরবি লিপজিগে। সেখানে দারুণ চারটি মৌসুম শেষে এবার ফিরে আসেন পুরনো ক্লাব বার্সেলোনায়।

রীতিমত ট্রান্সফার মার্কেটে বিরাট ওলট-পালট করে বার্সেলোনায় ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই নায়ক। এভাবেও ফিরে আসা যায় তাহলে!

Share via
Copy link