Social Media

Light
Dark

ফ্লুমিনেন্সের হৃদয় জুড়ে থিয়াগো

ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৯ সালে জিতেছেন কোপা আমেরিকা। থিয়াগোর ফুটবল ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের মত ফ্লুমিনেন্সের কাছেও ঋণের কোনো শেষ নেই।

ব্রাজিলের হৃদপিণ্ড তিনি। তিনি যখন ফিরেছেন ব্রাজিলে তখন, হৃদপিণ্ডে নতুন প্রাণ সঞ্চার হতে বাধ্য। ব্রাজিলের ঘরোয়া লিগের দল ফ্লুমিনেন্সে পা রাখা মাত্রই বদলে গেল ক্লাবটি। থিয়াগো সিলভা চরিত্রটাই এমন, প্রায় ৪০ বছর বয়সে এসেও তিনি বলতে জানেন – টাইগার জিন্দা হ্যায়!

২০২২-২৩ মৌসুমে ফরাসি লিগ ওয়ানের দল পিএসজি থেকে এক বছরের জন্য যান চেলসিতে। কিন্তু সেখানেই কাটিয়ে দেন চার বছর। এবার দেশ ব্রাজিলে ফিরেছেন আবারও। ক্যারিয়ারের শেষ বেলাটা তিনি নিজের দেশেই শেষ করতে চান।

ঠিকানা হয় ফ্লুমিনেন্স। থিয়াগো আসার আগে এই মৌসুমের ১৭ টি ম্যাচে মোটে একটি ম্যাচ জিতেছিল ক্লাবটি। কিন্তু, বুড়ো থিয়াগো নতুন প্রাণের জোয়ার আনলেন ক্লাবের মনোবলে।

তাই তো তিনি আসার পর ছয়টি ম্যাচের কোনোটাতেই হারতে হল না ফ্লুমিনেন্সকে। ছয়টি ম্যাচের সবগুলোতেই ছিলেন থিয়াগো সিলভা। আর রক্ষণের এই রক্ষার প্রাচির দলকে একটাও গোল হজম করতে দেননি। সত্যিই, পার্থক্যটা গড়ে দিতে জানেন থিয়াগো সিলভা।

ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১১৩টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৯ সালে জিতেছেন কোপা আমেরিকা। থিয়াগোর ফুটবল ক্যারিয়ারে ব্রাজিলের মত ফ্লুমিনেন্সের কাছেও ঋণের কোনো শেষ নেই।

ফ্লুমিনেন্সের যুব অ্যাকাডেমি থেকে শুরু হয় সিলভার ক্যারিয়ার। এরপর পর্তুগাল, রাশিয়া হয়ে ক্যারিয়ারের বাজে সময় ফিরে আসেন ফ্লুমিনেন্স। এরপরেই আসে ব্রাজিল দলের ডাক। সেখান থেকেই থিয়াগোর ব্রাজিলের হৃদয় হয়ে ওঠার শুরু।

তাই, শেষ বেলায় দলের দুর্দিনে তিনি ফিরেছেন। আর ফিরে এসেই হাত ভরে প্রতিদান দিয়ে চলেছেন দলকে।

 

Share via
Copy link