অজিদের নিজস্ব ইংলিশ!

সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝেই ৩৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের আশা অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে। আস্কিং রান রেটের বাড়তি চাপ সামাল দিতে গিয়ে ৫৯ রানে থামেন এই ব্যাটার। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি, ফলে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড।

তিন ওভারে তিন উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে দেয়া ব্র্যাডলি কারি তখন বল হাতে, তাঁর সামনে একটু সতর্ক হয়ে খেলার কথা জশ ইংলিসের। কিন্তু কিসের কি, পরপর দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি – এ যেন অজি দম্ভেরই বহিঃপ্রকাশ। স্কটিশ বোলারদের বিপক্ষে অবশ্য সংগ্রাম করেছিলেন বাকিরা, তবু অস্ট্রেলিয়া বিদ্যুৎ বেগে ছুটেছে তাঁর ব্যাটে ভর করে।

খেলেছেন ৪৯ বলে ১০৩ রানের ঝড়ো ইনিংস, তিন অঙ্কের ঘরে পা রাখতে লেগেছে কেবল ৪৩ বল। এর মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান বনে গেলেন এই ব্যাটার। নিজের ক্যারিয়ারে এটি তাঁর দ্বিতীয় শতক; তিনি ছাড়া একটার বেশি শতক রয়েছে কেবল গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আর অ্যারন ফিঞ্চের।

এই উইকেটরক্ষকের সেঞ্চুরির পর বল হাতে দাপট দেখিয়েছেন অলরাউন্ডার মার্কাস স্টয়নিস, একাই চার উইকেট শিকার করে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ ধসিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাতেই ৭০ রানের বড় জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

যদিও এদিন শুরুটা এত সুখকর হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আগের ম্যাচের নায়ক ট্রাভিস হেড, খানিক পরে আরেক ওপেনার জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্কও আউট হন। দ্রুত দুই উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন ক্যামেরন গ্রিন আর ইংলিস।

তাঁদের ৯২ রানের জুটিতে স্বস্তি ফেরে অজি শিবিরে। শেষদিকে, ইংলিস আউট হলেও টিম ডেভিডের ছোটখাটো ক্যামিওতে ১৯৬ রানের পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে। অস্ট্রেলিয়ার খর্ব শক্তির বোলিং লাইনআপের বিরুদ্ধে স্কটল্যান্ডের ব্যাটাররা অবশ্য আত্মবিশ্বাস হারাননি, বিশেষ করে তিন নম্বরে নামা ব্রেন্ডন ম্যাকমুলেন একপ্রান্ত আগলে রাখেন।

সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলের মাঝেই ৩৮ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের আশা অনেকটাই দূরে সরে গিয়েছে। আস্কিং রান রেটের বাড়তি চাপ সামাল দিতে গিয়ে ৫৯ রানে থামেন এই ব্যাটার। এরপর আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি, ফলে ১২৬ রানেই গুটিয়ে যায় স্কটল্যান্ড।

Share via
Copy link