স্বজনপ্রীতির কারণেই পাকিস্তানের এমন দুরবস্থা

পাকিস্তান কতটা দুঃসময় পার করছে সেটা বোঝার জন্য একটা পরিসংখ্যান। গত ষাট বছরের হিসেবে আইসিসির টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের তলানিতে আছে তাঁরা।

পাকিস্তান কতটা দুঃসময় পার করছে সেটা বোঝার জন্য একটা পরিসংখ্যান। গত ষাট বছরের হিসেবে আইসিসির টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের তলানিতে আছে তাঁরা। ঘরের মাঠে টানা দশ ম্যাচ জয় জোটেনি তাঁদের কপালে – সবশেষ বাংলাদেশের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেয়েছে দলটি। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকেই।

সবমিলিয়ে বাবর আজমরা এখন আছেন স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়ানক দুঃস্বপ্নের মাঝে। কবে সেই দুঃস্বপ্ন ভেঙে জেগে উঠবেন তাঁরা সেটা জানা নেই কারোই। অথচ পরিবর্তনের কমতি নেই; গত দুই বছরে চারজন ভিন্ন ভিন্ন কোচ এসেছেন পাকিস্তানে, তিনজন অধিনায়কের দেখা মিলেছে, ঘরোয়া ক্রিকেটে নিত্যনতুন টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হচ্ছে।

তবু কেন চেনা ছন্দে ফিরছে না পাকিস্তান, সেই উত্তরই দেয়ার চেষ্টা করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান। একটি বিবৃতিতে তিনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন।

এই কিংবদন্তি বলেন, ‘ক্রিকেটের মত একটি টেকনিক্যাল খেলাতেও স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে। মহসিন নকভির যোগ্যতা কি, সে দায়িত্ব পায় কিভাবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অযোগ্য আর দুর্নীতিবাজদের হাতে গেলে সেটা ধ্বংস হতে বাধ্য।’

একই সুরে পিসিবির একসময়কার চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি বলেন, ‘জেনারেল, বিচারপতি কিংবা কূটনীতিবিদদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কেবল তাঁরা ক্রিকেট ভালবাসেন দেখে। এদের কারোই কিন্তু খেলাটা সম্পর্কে জ্ঞান নেই। আবার অনেক সাবেক ক্রিকেটারকে বিভিন্ন পদে রাখা হয়েছে যাদের প্রশাসনিক কোন অভিজ্ঞতা নেই।

বাংলাদেশ সিরিজের পর থেকেই অবশ্য নকভি এবং তাঁর প্যানেলের পদত্যাগের দাবি উঠেছে। সাধারণ ক্রিকেট সমর্থক থেকে শুরু করে গণমাধ্যম সবাই মেতেছেন সমালোচনায়। তবে পাক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ খান ভরসার হাত রাখছেন তাঁর কাঁধে। তিনি যতক্ষণ ভাল লাগে ততক্ষণ পিসিবির দায়িত্ব সামলাতে পারেন এমনটাই জানিয়ে দিয়েছেন সানাউল্লাহ।

Share via
Copy link