কন্ডিশনই বাংলাদেশের বড় পরীক্ষা

সময় ঘনিয়ে আসছে। চলতি মাসের ২০ তারিখে প্রথম ওয়ানডে  দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড সিরিজ। কিন্তু বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছে গত মাসের ২৩ তারিখে। মূলত নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিতেই সিরিজ শুরুর প্রায় এক মাস আগে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছে বাংলাদেশ।

দলের সফর সঙ্গী হওয়া নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে আগে গিয়ে সময় টকু ভালো ভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। বাশার মনে করেন আরো যে অনুশীলন সেশন গুলো আছে সেটা কাজে লাগিয়ে সিরিজ শুরুর আগেই কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিবেন সবাই।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিলো নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া। এই সময়টা খুব ভালো ভাবে ব্যবহার করছে সবাই এবং এখানকার সুযোগ সুবিধা আসলেই চমৎকার। নিউজিল্যান্ডে আসার আগে গুরুত্বপূর্ণ ছিলো এখানকার কন্ডিশনের সাথে কি ভাবে মানিয়ে নিতে পারি। যে সময় পাচ্ছি, এখানে যে উইকেট দেখছি নিউজিল্যান্ডের উইকেট এমনই হয়ে থাকে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এরপর আমরা আরো কয়েক দিন অনুশীলন করার সুযোগ পাবো। আমরা যে কস্ট টুকু করছি একটু আগে এসে আমরা সেটা খুব ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারছি। আমার মনে হয় খুব ভালো ভাবেই কাজে লাগবে এই সিরিজে। কারণ আমাদের এখানকার কন্ডিশন তো আমাদের কন্ডিশনের সাথে সম্পূর্ন ভিন্ন। সব জায়গাতে এরকমই পাবো। হয়তো ডানেডিনে একটু ঠাণ্ডা বেশি থাকবে। কিন্তু উইকেট এরকমই থাকবে। তো আমাদের আগে আসাটা কাজে লাগাতে পারবো।’

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ডের প্রথম তিন দিন হোটেলে নিজ নিজ কক্ষে বন্দি থাকতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। এরপর দুই দফা করোনা টেস্টে সবাই নেগেটিভ আসার পর অস্টম দিন থেকে শিথিল করা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম। নিয়ম শিথিলের পর অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাশার জানিয়েছেন এরপরেও খুশি ক্রিকেটাররা। কারণ ১৪ দিন শেষেই মুক্ত হবেন সবাই। সিরিজ চলাকালীন থাকতে হবে না জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলেও।

বাশার বলেন, ‘এখন আমরা যখনই যে সিরিজ খেলি পুরো সিরিজ বায়ো বাবলে থাকতে হচ্ছে। এই সময়ে আমরা কোথাও যেতে পারিনা, পরিবার আসতে পারে না। এটা অনেক বড় কঠিন। নিউজিল্যান্ডে একটা খুব ভালো দিক ও বড় সুবিধা ১৪ দিন পরে কিন্তু আমরা মুক্ত। আমরা ঘুড়ে বেড়াতে পারবো। যে কোন জায়গাতে যেতে পারবো এবং খেলার বাইরের সময়টা অনেক ভালো ভাবে ইনজয় করতে পারবো। এটা এক দিক দিয়ে ভালো আপনি ১৪ দিন কষ্ট করছেন এরপর আর বায়ো বাবলের ভিতর থাকতে হচ্ছে না। ক্রিকেটাররা সবাই এটা ভেবে এটাকে পজেটিভ হিসাবেই নিয়েছে।’

২০ মার্চ ডুনেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে হ্যাগলি ওভাল, ক্রাইস্টচার্চে এবং ২৬ মার্চ শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে বেসিন রিজার্ভ, ওয়েলিংটনে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষে ২৮ মার্চ সেডন পার্ক, হ্যামিল্টনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ৩০ মার্চ ম্যাকলিন পার্ক, নেপিয়ারে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে ইডেন পার্ক, অকল্যান্ডে এক এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। জানিয়ে রাখা ভাল, এর আগে কোনো ফরম্যাটেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে জয় পায়নি বাংলাদেশ দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link