করোনা ভাইরাসজনিত বিপর্যয়ের কারণে গত বছরের মার্চে স্থগিত হয়ে যায় দেশের সব ধরণের ক্রিকেট। এই সময় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচের সাথে স্থগিত হয়ে যায় ঘরোয়া টুর্নামেন্ট গুলোও। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্টের আয়োজন করলেও মাঠে গড়ায়নি বাংলদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
স্থগিত হয়ে যাওয়া ঘরোয়া লিগ গুলো নিয়মিত মাঠে রাখতে এবার বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে বিসিবি। আগে কখনো ঘরোয়া লিগের জন্য ক্যালেন্ডার না করলেও এবার ক্যালেন্ডার বানানোর কাজ শুরু করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আইসিসির নির্ধারিত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) অনুযায়ী ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঠিক করা রয়েছে বাংলাদেশের পরবর্তী সিরিজ গুলো। এফটিপির সূচির সাথে যেনো সাংঘর্ষিক না হয় সেই বিষয়টি মাথায় রেখে ২০২৩ সাল পর্যন্তই ঘরোয়া লিগের ক্যালেন্ডার বানাচ্ছে বিসিবি।
বিসিবির করা ঘরোয়া লিগের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী টানা দ্বিতীয় বারের মতো এবারো অনুষ্ঠিত হবে না দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর বিপিএল। সূচি অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির ভিতর অনুষ্ঠিত হতে পারে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টটি।
বিপিএলের সর্বশেষ আসর মাঠে গড়িয়েছিলো ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এবং শেষ হয়েছিলো ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সেটি ছিল বিপিএলের একটি বিশেষ আসর।
বাংলদেশ জাতীয় দলের ব্যাস্ত সূচির কারণেই বিপিএল আয়োজনের জন্য ফাঁকা সময় বের করতে পারেনি বিসিবি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এখন নিউজিল্যান্ড সফরে রয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেই টেস্ট সিরিজ খেলতে এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে মুশফিক-তামিমরা। এরপরের মাসেই আবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কা সিরিজ শেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একটু বিরতী নিয়ে মে মাসে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ও জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) খেলবেন ক্রিকেটাররা। এই দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট শেষে আবারো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে বাংলাদেশ।
জুনে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আসর এশিয়া কাপ। এশিয়া কাপ শেষে প্রায় ৮ বছর পর পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে জিম্বাবুয়ে সফরে যাবে বাংলাদেশ। অক্টোবর নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগ দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে নভেম্বর ডিসেম্বরে ছয় বছর পর বাংলাদেশ সফরে আসবে পাকিস্তান। পাকিস্তান সিরিজ শেষে ২০২২ সালের শুরুর দিকে একটা ফাঁকা সময় পাবে বিসিবি। আর সেই সময়টি বিপিএলের জন্য বরাদ্ধ রেখেছে বিসিবি।