ওরা বলছিল, ‘তুমি কারও সাহায্য পাবে না!’

লর্ডসে এক কিশোরের উত্থান। তারপর ১৫-১৬ বছর পেড়িয়ে গেছে। আজ মুশফিকুর রহিম টেস্টে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। বর্তমানে অন্যতম অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষকও বটে।

মুশফিক পিছনে ফিরে তাকিয়ে তাঁর সেরা সাত ইনিংস নির্বাচন করলেন ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সাথে।

  • টেস্ট অভিষেক, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, লর্ডস, ২০০৫

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক কঠিন সময়ে মুশফিক মাত্র ১৭ বছর বয়সে টেস্টের জার্সি গায়ে চাপান। তখন ব্যাকআপ ক্রিকেটার এত কম ছিল যে, এক কিশোরকে ব্যাকআপ কিপার হিসেবে দলে নিতে হয়।

অস্ট্রেলিয়ায় অনূর্ধ্ব -১৯-এর সফরে ছিলাম তখন। আমি বাংলাদেশ টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি শুনে আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি জাতীয় দলে যোগ দিতে দ্রুত ফিরে গিয়েছিলাম, আমি যেন স্বপ্ন দেখছিলাম। আমি এমন লোকদের সাথে খেলতে যাচ্ছিলাম যাদের দূর থেকে টিভিতে দেখেছি অথবা বিকেএসপিতে সিনিয়র ছিল। আমি ভেবেছিলাম, পাইলট ভাইকে কিছুটা বিশ্রাম দেওয়ার জন্য অনুশীলন ম্যাচগুলো খেলব, টেস্টে উনিই খেলবেন। আমি সাসেক্সের বিপক্ষে একটি ফিফটি এবং নর্থহ্যাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রান করেছি। কোচ রিচার্ড ম্যাকিন্সের অধীনে আগের বছর ইংল্যান্ড সফর করায় সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমার কিছু ধারণা ছিল।

স্টিভ হার্মিসন, ম্যাথু হোগার্ড এবং অ্যান্ড্রু ফ্লিন্টফের মতো গ্রেটদের বিপক্ষে খেলার সম্ভাবনা থাকায় আমি কিছুটা ঘাবড়ে ছিলাম। আমি তাদের বিপক্ষে ভাল খেলতে পারব কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ ছিল। তবে কোচ, সিনিয়র এবং পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আমি অনেক উৎসাহ পেয়েছি। আমার বাবা বলেছিলেন যে আমার বগুড়ার সেই ছোট্ট খেলার মাঠ হোক কিংবা লর্ডস, আমাকে দাঁড়াতে হবে ২২ গজেই।

সেই ইনিংসের সময় আমার সামনের দিকে ফিল্ডার দেওয়া হচ্ছিল না। মিডঅফে গ্রাহাম থর্প এবং মাইকেল ভন এক্সট্রা কভারের বাইরে। বাকি সবাই আমার পিছনে ছিল। সেখানে স্লিপস, একটি লেগ স্লিপ এবং গালিতে ফিল্ডার ছিল। ওরা বলছিল, ‘তুমি কারও সাহায্য পাবে না!’

কিন্তু, আমি আমার অভিষেক উপভোগই করছিলাম। ব্যাটিং বিপর্যয়ের সেই ইনিংসে দুই অংকে প্রবেশ করা তিন ব্যাটসম্যানের একজন আমি ছিলাম।

আমি ভাল খেলতে পারিনি (১৯ এবং ৩), কিন্তু ওইদলের বিপক্ষে ওই কিছুক্ষণ টিকে থাকাও আমাকে তৃপ্তি দিয়েছে তবে সেই অভিজ্ঞতা আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে, এ রকম ভাল কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলতে চাইলে আমাকে কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

  •  ২০০৭ বিশ্বকাপ,  ভারতের বিপক্ষে, পোর্ট অব স্পেন

নির্বাচকরা মুশফিককে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে নিয়ে নেন, অভিজ্ঞ পাইলটের পরিবর্তে। প্রথম ম্যাচেই মুশফিক অপরাজিত ৫৬ রান করে সেই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা প্রমাণ করেন।

আমার উপর এই ম্যাচের আগে অনেক চাপ ছিল। আমি পাইলট ভাইয়ের বদলী ছিলাম, যিনি দীর্ঘদিন দলকে দারুণ সার্ভিস দিয়ে গেছেন। আমি ভেবেছিলাম কারও ইনজুরিতে হয়ত সুযোগ পেতে পারি, ফার্স্ট চয়েজ হবার আশাই করিনি। বিশ্বকাপের স্পেশাল ডিনার পার্টিতে আমি শুধু ব্রায়ান লারা, শচীন টেন্ডুলকারদের দেখছিলাম, বিশ্বকাপ যে কি ব্যাপার তখনও ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি।

ভারতের বিপক্ষে ইনিংস বিরতির সময়, আমি জানলাম আমি তিন নম্বরে ব্যাট করতে যাচ্ছি, আমার এটি নিয়ে ভাবার খুব কম সময় ছিল।

ভারতের প্রথম ম্যাচ ছিল এবং তারা ভেবেছিল তাদের বড় ম্যাচের আগে কিছুটা ব্যাটিং প্র্যাকটিস করে নিবে, কিন্তু তাঁরা পারেনি। এটা বেশ শক্ত উইকেট ছিল। তামিম আমাদের একটি দুর্দান্ত সূচনা এনে দিয়েছিল। তারপর আমার আর সাকিবের  ভাল জুটি হয়েছিল। অত বড় মঞ্চে আমার দুই অনূর্ধ্ব -১৯ দলের সতীর্থের সাথে ব্যাট করতে আমাকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য দিচ্ছিল।

আমি যখন জয়সূচক রান করি তখনও আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে কী ঘটছে।

জয়সূচক করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমাকে অবশ্যই আশরাফুল ভাইকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। আগের ওভারেই তিনি জহির খানের বিপক্ষে এটি করে নিতে পারতেন। আমার বোধে আসতে সময় নিচ্ছিল, কিন্তু যখন আমরা সবার কাছে অভিনন্দন বার্তা পেতে শুরু করি তখন আমার মনে হলো যে আমরা দেশের জন্য বড় কিছু করেছি।

  • ১০১ রান,  প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, হারারে, ২০১১

২-০ তে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ খেলছিল। সে বছর বিশ্বকাপের পরে মুশফিক নিজেকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে সেট করে ফেলেন। সেই ম্যাচে তিনি ২৫১ রানের জবাবে ম্যাচটা অনেকখানি টেনে নিয়ে যান, সাপোর্টের অভাবে জিতাতে পারেন নি।

আমার স্পেশাল একটা ইনিংস ছিল কিন্তু আমি এ নিয়ে বেশি কিছু বলি না কারণ শেষ পর্যন্ত আমার দল জেতেনি, তবে এই ইনিংসের সময় আমি নিজের সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি।

ইনিংসের শেষদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসছিল, ফ্লাডলাইট ছিল না। আমি আম্পায়ারকে বলেছিলাম যে, আমার বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে, তখনো আমি চার মেরে এসেছিলাম, কুমার ধর্মসেনা বললেন , ‘আপনি তো চার-ছক্কা মারছেন, আবার আপনিই বলছেন যে বল দেখতে পাচ্ছেন না?’

খুব বেশি সমর্থন পাইনি। নাসির গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট হল, যা ছিল একটি ধাক্কা। তবে আমি ম্যাচ গভীরে নিতে পারছি এবং জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিতে পারছি এটা আমার জন্য ভাল অভিজ্ঞতা ছিল।

  • অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচ, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, মিরপুর, ২০১১

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচের কয়েক মাস পর মুশফিক আবার শেষ ওভারের নাটকীয়তার মুখোমুখি, এবার মিরপুরে, কাঁধে নেতৃত্বের দায়িত্ব।

টি-টোয়েন্টিতে আমার খুব বেশি বড় ইনিংস নেই, তাই এটি আমার সেরা নকগুলির মধ্যে একটি।

অধিনায়ক হিসেবে এটি আমার প্রথম ম্যাচ, ইন-ফর্ম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শেষ তিন ওভারে ২৭ রান লাগত। আমি বুঝছিলাম যদি শেষ ওভারে টেনে নিতে পারি তবে আমাদের একটা সুযোগ আছে। আমি সর্বশেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান, তাই আমি নিশ্চিত করছিলাম আমাকেই সবচেয়ে বেশি বলের মুখোমুখি হতে হবে। দুই বল বাকি থাকতে আমি রাজ (আব্দুর রাজ্জাক) ভাইকে বললাম, রান নিতে গিয়ে উনি রান আউট হয়ে গেলেও আমার স্ট্রাইকে থাকতেই হবে। আমি শান্ত ছিলাম, রবি রামপল ইয়র্কার দিতে গিয়ে লেন্থ বল দিয়ে দেয়, আমার প্রিয় শটটা নেয়ার উপযুক্ত বল পেয়ে যাই, ডিপমিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা।

  • প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, গল, ২০১৩

মুশফিক ২০১২-১৩ মৌসুমটা দারুণ কাটাচ্ছিলেন। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৩-২ এ সিরিজ জয়, বিপিএলে সর্বোচ্চ রান এ রকম ভাল ফর্ম নিয়ে শ্রীলঙ্কায় এসে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে গেলেন।

আমি মনে করি এটা আমার সেরা ইনিংস। এই টেস্ট আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দেয়।

আমি মৌসুমের শুরুতে বিপিএলে সর্বোচ্চ রান করে ভাল ফর্ম নিয়ে শ্রীলঙ্কায় গিয়েছিলাম, প্রস্তুতি ম্যাচেও হাফ-সেঞ্চুরি করে সফর শুরু করেছি। আমরা ভাগ্যবান যে, এটি দারুণ ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট ছিল। এমনকি অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও বলছিলেন, এরকম ফ্ল্যাট উইকেট অনেক অবিশ্বাস্য।

১৩৫ ওভার কিপিং করে ব্যাট করতে নামা বেশ কঠিন ছিল। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে কুমার সাঙ্গাকারার টেস্ট রেকর্ড দেখার পরে আমি সংকল্পবদ্ধ ছিলাম। আমি ভাবছিলাম যদি আমি আমার চিন্তায় স্থির থাকি, বড় রান করি, সেটা সবচেয়ে খুশির ব্যাপার হবে আমার জন্য। আশরাফুল ভাই শুরুতেই আক্রমণ করে খেলতে থাকেন। আমি তৃতীয় দিনে ডিনারে তাকে বলছিলাম, টেনশন এবং চাপ ছাড়া খেললে তিনি প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরিতে পৌঁছাবেন এবং তারপরে আমি করতে পারি। তারপর ২৫০ তারপর ৩০০ এভাবে আরও শিখরে উঠবেন। কোনো ছাড়াছাড়ি নাই। আমরা যতক্ষণ সম্ভব ব্যাটিং করবো।

আশরাফুল ভাই, দুর্ভাগ্যক্রমে, ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন না, কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি মাইলফলকে পৌঁছে যাই।  আমি মনে করি এটি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য একটি বিশেষ ইনিংস ছিল কারণ এটি আমাদের উপলব্ধি করায় যে, কোনো বাংলাদেশিও এত বড় স্কোর করতে পারে।

  • টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ভারতের বিপক্ষে, ব্যাঙ্গালুরু, ২০১৬।

মুশফিক প্রথমবারের মতো ভারতকে ভারতে হারিয়ে দেবার মাঝে মাত্র দুই রানের পার্থক্যে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হন নি।

আমি জানতাম আপনি এই প্রসঙ্গ তুলবেন (হেসে)। দেখুন, এটা আমার জন্য বিশাল শিক্ষা ছিল।

তাঁদের মাটিতে তাঁদের বিপক্ষে জয় পাওয়া আমাদের জন্য বিশাল ব্যাপার ছিল। আমরা কখনোই ভারতে ভারতকে কোন ফরম্যাটে পরাজিত করতে পারি নি। আমি আমার জায়গা থেকে নিচে নেমে ব্যাটিং করেছি [৮ নম্বরে], যা আমার পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি উত্তেজনা দেখালেও সাধারণত ভিতরে শান্ত থাকি। এই ইনিংসের সময় সম্ভবত আমি টেম্পার ধরে রাখতে পারিনি। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আমি স্বীকার করি যে, দল আমার কারণে হেরে গেছে, তবে রিয়াদ ভাই বা শুভাগত দ্রুত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে ব্যাট করায় আমার খারাপ লাগছিল আমার যে অবস্থা খারাপ লাগছিল।

আমরা যদি সেই পরিস্থিতিতে জিততে পারতাম তবে অবশ্যই দুর্দান্ত হত। আমার সব সময় এই আক্ষেপ থাকবে। আমরা একটি বড় সুযোগ হাতছাড়া করেছি এবং আপনি অন্য ম্যাচের সাথে এটি সত্যিই তুলনা করতে পারবেন না।

তবে গত বছর ভারতকে হারানো এবং তাতে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলা আমার কাছে স্পেশাল ছিল। হায়দ্রাবাদে টেস্ট সেঞ্চুরি করেও ভাল লেগেছিল। আমরা ভারতের মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলছিলাম এবং তাদের পাঁচ শীর্ষ বোলার ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মা, অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাদেজা। এটি আমাকে প্রচুর আত্মবিশ্বাস দেয়।

  • ১৫৯, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ওয়েলিংটন, ২০১৬-১৭

মুশফিক আর সাকিবের ৩৫৯ রানের জুটি আজও দেশের সর্বোচ্চ জুটি। মুশফিক মাঠে ডানহাতে ব্যথা পেয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে মাথায় আঘাত পান তিনি।

এটি আমার দ্বিতীয় সেরা ইনিংস। সফরের প্রথম ওয়ানডেতে আমার হ্যামস্ট্রিং ছিঁড়ে ফেলেছিলাম, তাই আমাকে আড়াই সপ্তাহ ধরে পুনর্বাসনে থাকতে হয়। সফরে থাকা প্রত্যেকে, বিশেষত বিদেশে যখন খেলছে তখন দলের বাইরে বসে থাকা শক্ত।

কয়েকটা ম্যাচ বাইরে ছিলাম, মনে হচ্ছিল দলে থাকলে জেতাতে পারতাম! আমরা নিউজিল্যান্ডে কখনই জিততে পারি না, তাই কাছে এসেও হারাটা আমার কাছে হতাশার।

ওয়েলিংটনে এসে উইকেট, বাতাসের প্রবাহ আর দুর্ধর্ষ বোলিং আক্রমণ – এর মধ্যে সবচেয়ে শক্ত অবস্থার মধ্যে একটি ছিল। তামিম ও মমিনুল যেভাবে তাদের বোলিং খেলছিল তা আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল।

আমি জানতাম আমি যদি আমার মত খেলি তাঁদের ধরণ কাজে লাগিয়ে, তবে বড় কিছু হবে। সাকিব ডাবল-সেঞ্চুরি করেছিল, জুটিটাও বড় হয়।

দ্বিতীয় ইনিংসে আমার একটা আঙুলে ব্যথা ছিল, তাই তারা জানত যে আমাকে কোথায় বোলিং করতে হবে। নিল ওয়াগনার সারাক্ষণ শর্ট বোলিং করছিল, তবে এটা তাঁর স্বাভাবিক বোলিং।

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ইমরুল কায়েস দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে চেষ্টা করে পরে আহত হন। আমি যথাসম্ভব খেলতে চেষ্টা করেছি, কিন্তু যখন আমার মাথায় আঘাত লেগেছে, আমি আর চালিয়ে যেতে পারিনি। এই ম্যাচে ব্যক্তিগত সাফল্য থাকলেও, ম্যাচ জিততে না পারায় খারাপ লেগেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link