গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বাংলাদেশের ক্রিকেট উত্থানের প্রতীক। ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল ব্যাটসম্যান, সফলতম দল আবাহনীর অধিনায়ক, প্রথম ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনালে জাতীয় দলের অধিনায়ক, ১৯৯৭ আইসিসি ট্রফিজয়ী দলের ম্যানেজার এবং বোর্ড পরিচালক ছিলেন।
এর ভেতর থেকে কথা বলেছেন ৩৫ বছর আগে বাংলাদেশের সেই অভিষেক ম্যাচ নিয়ে। সেই ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে চলে এসেছে এখনকার ক্রিকেটও। এখনকার ক্রিকেটের দুরাবস্তার ব্যাখ্যাও দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক সময়ের তুখোড় এই খেলোয়াড় ও সংগঠক।
লিপু ভাই, সেটা ছিলো প্রথম ওয়ানডে ইন্টারন্যাশনাল। কতটা রোমাঞ্চিত ছিলেন খেলার আগে?
খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। এই ম্যাচটা খেলার আগে আমরা ৮৫ সালে অথবা ৮৬-এর শুরুতে ‘ওমর কোরাইশি একাদশ’ নামের একটা দলের সাথে ঢাকায় খেললাম। সেখানে ইমরান খান, ওয়াসিম আকরাম, মোহসিন খান, আব্দুল কাদির, জাভেদ মিয়াদাদ ছিলো। ওইটা ছিলো আমাদের প্রথমবার সুপারস্টারদের কাছ থেকে দেখা। ১৯৮৬ সালে ব্যাপক আনন্দ ছিলো যে আমরা এশিয়া কাপ খেলতে যাচ্ছি। ওখানে আবার তাদের সাথে দেখা হবে। ঢাকায় ওদের ফাস্ট বোলারদের খেলতে সমস্যা হয়েছে। ওদের অনেকের বল আমাদের বুকে লেগেছে, শরীরে লেগেছে। সুতরাং ওদেরকে ওখানে (শ্রীলঙ্কায়) কিভাবে ফেস করবো; এটা নিয়ে একটা চিন্তা ছিলো। এ ছাড়া ওদের সাথে ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে ইন্টারঅ্যাকশন হবে, ওদের সাথে খেলবো, এটা একটা বিরাট এক্সাইটেড ছিলাম।
শ্রীলঙ্কাতে পৌছানোর পরের অভিজ্ঞতাটা কেমন ছিল?
শ্রীলঙ্কানরা খুব আপন করে নিয়েছিলো। ওরা জানতো নতুন দলের যন্ত্রণাটা কী। শ্রীলঙ্কার মানুষ আমাদের যে সম্মান দিয়েছে, সেটাতে আমরা অভিভূত ছিলাম। তারা পারফরম্যান্সের নিরিখে আমাদের বিচার করেনি। তখন বাংলাদেশ বা শ্রীলঙ্কায় জনসংখ্যাও খুব ছিলো। বাংলাদেশে তো ক্রিকেট খেলতো মূলতিইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা বা ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে বেরোনো ক্রিকেটাররা। বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ছেলেদের দিয়ে জাতীয় দল গঠিত ছিলো। ঢাকায়ও তখন ক্রিকেটের এরকম রমরমা ছিলো না। কলম্বোতে গিয়েও আমরা একই চিত্র দেখলাম। এমনিতেই শুনশান শহর। তারপরও আমাদের ভালো অভ্যর্থনা দেওয়া হল।
আপনাদের জন্য টিম বাস বা এসব ছিল?
শ্রীলঙ্কায় আমাদের একটা টিম বাস ছিল। আজকের মতো ব্র্যান্ডিং ছিল না। কিন্তু একটা বোর্ডে বাংলাদেশ নাম লেখা ছিলো। একটা মজার কথা বলি। একদিন হোটেল থেকে বেরিয়ে আমরা দেখি আট-দশজনের মতো লোক দেখি আমাদের অটোগ্রাফের জন্য দাঁড়িয়ে আছে। ওটা দারুন একটা অভিজ্ঞতা ছিলো। আর কলম্বোর মুসলিম কমিনিউটির পক্ষ থেকে গিফট পেয়েছি। একটা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হয়েছিলো ছিলো। ওটা মনে হয়, খেলা শুরুর আগের দিন হয়েছিলো। আমাদের জাতীয় সঙ্গীত বাজছিলো, জাতীয় পতাকা উড়লো। এটা ছিল দারুণ গর্বের বিষয়। একটা প্রাইড তো যে, আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি। ইউনিসিফের পক্ষ থেকে টিকা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার জন্য ভিডিও হতো।
লিপু ভাই, টসটা নিয়ে অনেক গল্প শোনা যায়। ইমরান খান নাকি উইকেটের কাছে গিয়ে টস করতে চাননি?
টস ড্রেসিংরুমের সামনে হয়েছিলো, এটা সত্যি। কিন্তু এর মধ্যে অবহেলার কোনো ব্যাপার ছিলো না। সেই সময় ম্যাচ রেফারি ছিলো না, আম্পায়াররাও টসে ওইভাবে থাকতেন না। ইমরান খান ট্র্যাকসুট পড়া ছিলো, নেভি-ব্ল্যাক রঙের। প্যাভিলিয়ন থেকে পিচ অনেক দূরে ছিলো। ধরো, ৮০-৯০ গজ। ইমরান খান বললো, ‘টস করার জন্য ওতো দূর যাওয়ার কী আছে। আসো এখানে সেরে ফেলি।’ তখন তো ইমরানের এই কথা ফেলে দেওয়ার মতো তারকাও আমি ছিলাম না। আমার আসলে মনে হয়নি যে, ইমরানের কথার প্রতিবাদ করি। তাঁর সঙ্গে টস করতে যাচ্ছি, এটাই ছিলো বিরাট ব্যাপার।
টসের একটা ছবি দেখা যায়…
তখন একজন ফটোগ্রাফার ছিলো। আমি তাঁর ছবি তোলা দেখে ভাবলাম, যাক ছবিটা পাওয়া যাবে। কিন্তু সে ছিলো পেশাদার ফটোগ্রাফার। পরে তাঁকে খেলোয়াড়দের কাছে ছবি বিক্রি করতে দেখেছি। আমাদের কাছেও বিক্রি করতো, শ্রীলঙ্কানদের কাছেও বিক্রি করতো। সবার কাছেই।
লিপু ভাই, এই যে প্রথম ওয়ানডের অধিনায়ক আপনি। তখন কী অনুভব করছিলেন যে, আজীবনের জন্য আপনার নাম ইতিহাসে লেখা হয়ে যাচ্ছে-প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচের ক্যাপ্টেন!
দ্যাখো, সত্যি বলি, সে সময় আসলে বুঝতে পারিনি যে, এটা এতো বড় একটা খেলা হয়ে যাবে একদিন। আমাদের কাছে প্রথম ওয়ানডে বলে এতো বড় ব্যাপার মনে হয়নি। এখন ধরো ক্রিকেট বড় একটা ব্যাপার হয়ে গেছে। এখন ফিরে দেখলে ওটাকে বড় ইতিহাস মনে হয়। ২০২০-২১ সালে ক্রিকেট যেখানে এসেছে, যতো পরিবর্তন হয়েছ, যে উন্নতি হয়েছ; ১৯৮৬ সালে তা কল্পনার অতীত ছিলো। আমার বরং অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে অসহায় লাগছিল।
কেন বলেন তো!
আসলে আমরা টিম হিসেবে খেলায় ফোকাস করছিলাম না। অধিনায়ক হিসেবে আমি এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। আমি অসহায়ত্ব অনুভব করেছি যে, আমরা সবাই নিজেদের নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। ফলে ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে ভাবা হচ্ছিল না। ম্যাচের জন্য যে সিরিয়াসনেস দরকার, সেটা হচ্ছিল না।
কোচ বা টিম ম্যানেজমেন্টের চাপ ছিল না?
কোনো কোচ ছিলো না তখন। আমরাই নিজেরাই সবাই চিন্তা করতাম। আমরা কিভাবে প্র্যাকটিস করবো, থ্রোয়িং অনুশীলন করবো; এগুলোও আমাদেরই ঠিক করতে হতো। এটাও আমাদের কাছে এডিশনাল চাপ ছিলো। কাইয়ুম রেজা চৌধুরী আমাদের ম্যানেজার ছিলেন। উনি খুবই চমৎকার লোক ছিলেন। তিনিও আমাদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতেন।
প্রথম ম্যাচটাতেই তো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পাকিস্তান বড় জয় পেলো। তখন ভয় করছিলো না?
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের কাছে খুব বাজেভাবে হারলো। ম্যাচটা অনেক আগে শেষ হয়ে যায়। আমরা খুবই অবাক ছিলাম ওই ম্যাচের পরে শ্রীলঙ্কাকে দেখে। তারা ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে হারের পরও ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য খুবই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলো। আমরা এনসিসিতে (ননডেসক্রিপ্ট ক্রিকেট ক্লাব) গিয়ে দেখি, ওরা খুব সিরিয়াস হয়ে অনুশীলন করছে। আব্দুল কাদিরকে কিভাবে খেলবে, এটা নিয়ে তারা খুব কাজ করেছিলো। পরে পাকিস্তানকে হারিয়ে তারা ফাইনালে যায়। মানে একটা হারে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না, এই মানসিকতা দেখাটা আমাদের জন্য নতুন ছিলো। ঢাকায় আমাদের প্রস্তুতি তো তেমন ভালো ছিলো না। শ্রীলঙ্কায় তাদের ক্লাব ক্রিকেট দেখে অনেক কিছু শিখেছি। ওই সময় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাদরের কোয়ালিটিও খুব ভালো ছিলেন।
সেই ফাইনালটা তো আপনারা দেখেছিলেন?
হ্যা। ওই আসরে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয় ছিলো যে আমরা হেরে যাওয়ার পরও ওরা আমাদের উৎসাহিত করার জন্য আমাদের ফাইনাল দেখার ব্যবস্থা হয়েছিল। আজকালকার মতো বাণিজ্যিকিকরণের বিষয় ছিল না। এখন যেমন ম্যাচ শেষ হলেই পরের দিন সকালে প্রতিপক্ষকে ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। তখন কালচারটাই ভিন্ন ছিলো।
এমনিতে ক্রিকেটের বাইরে আপনাদের সময় কাটছিলো কেমন?
হোটেলের কাছেই তো সমুদ্র। সামনের ওয়াকওয়েটাকে বলে গলফেস। সেখানে আমরা খুব সময় কাটাতাম। তখন জায়গাটা খুব নির্জন ছিলো। তখন আমরা সেখানে গানটান গাইতাম। আমরা সিনিয়র যারা ছিলাম, আমরা আড্ডা দিতাম। ছোটরা আবার আলাদা হয়ে বসে মজা করতো।
দেশে প্রস্তুতি কেমন হয়েছিলো?
কিছুই না। তখন আমরা ‘জয়-পরাজয় নয়, অংশগ্রহণই বড় কথা’ এই ধরনের কথাবার্তা বলতাম। তখন ১৪০ বা ১৪৫ গতির বল কিভাবে মোকাবেলা করতে হয়, সেটা বোঝা আসলেই আমাদের জন্য খুব কঠিন ছিলো। কারণ বাংলাদেশে তখন ম্যাক্সিমাম ১৩০ গতিতে বল করে। আমাদের মধ্যে প্রিন্স কেবল নজর কাড়তে পারলো। নান্নু একটা ভালো ইনিংস খেলোছিলো। শহিদও ভালো খেলেছিলো প্রথম ম্যাচটাতেই। প্রথম ম্যাচের পর রাতে আমি শুয়ে শুয়ে হাসছিলাম। ওয়ানডেতে আমার প্রথম উইকেট হলো জাভেদ মিয়াদাদ। আমি তো ক্লাব ক্রিকেটে বল করি — কিছুটা সাহস করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বল করে ফেলেছিলাম। ওইটা উইকেট পাওয়ার মতো বল ছিলো না। কিন্তু আমি উইকেট পেয়ে গিয়েছিলাম।
বলা হয় যে, আপনি অধিনায়ক হিসেবে নিজের বোলিংটা খুব ভালো ব্যবহার করতে পারতেন। নিয়মিত বোলার না হওয়ার পরও ক্রুশিয়াল কিছু সময় বল করতেন।
আমি অনেক ঝুকি নিতাম। আমার কাছে অধিনায়কত্ব থাকার কারণে দেখা গেছে আমি তৃতীয় ওভার, পঞ্চম ওভারেও অনেক বোলিং করছি। আবাহনীর হয়ে এ রকম করেছি। আমাদের দলে মিশা ভাই ও গোয়ালাদা থাকার কারণে প্রতিপক্ষ মনে করতো আমাকে মেরে খেলা দরকার। আমি এই সাইকোলোজিটা বুঝতাম। এই সুযোগে ব্রেক থ্রু পেয়ে যেতাম। তখনকার ক্রিকেটে ব্যাটিং তো অনেক কঠিন ছিলো। উইকেটের হেল্প পেতো না তেমন ব্যাটসম্যানরা। এখন ছয় বলে ছয় হয়ে যায়, তখন এই রকম টাইমিংয়ের সুযোগ ছিলো না। স্পিনাররা সে সময় খুবই সহায়তা পেতো উইকেট থেকে।
প্রথম ক্যাপ্টেন, আইসিসি ট্রফি জেতা ম্যানেজার, বোর্ড পরিচালক; বিভিন্ন পরিচয়ে ক্রিকেটের সাথে ছিলেন। সেই প্রথম ওয়ানডের ৩৫ বছর হলো। এই সময়ে আমাদের ক্রিকেটের যে অগ্রগতি হওয়া উচিত ছিলো, তা কী হয়েছে?
এইটা দুই জায়গায় হয়তো হয়েছে। আসলে তুমি পারফরম্যান্স দেখলে বুঝতে পারবা। কাঙ্খিত উন্নতিটা হয়নি। আমি টি-টোয়েন্টিকে খুব একটা গুরুত্ব দেই না। ওয়ানডেতে আমরা কিছুটা ভালো জায়গায় যেতে পেরেছি। টেস্টে একমদই হয়নি। আর এটাই হতাশার জায়গা। এই উন্নতিটা হওয়া উচিত ছিলো।
সংগঠক হিসেবে বলবেন, কেনো উন্নতিটা হলো না?
আমরা আসলে আমাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে ঠিকভাবে যত্ন করতে পারিনাই। রাইস ভাই, রেজা ভাইদের আমলের কথা বলবো, তখন জেলা পর্যায়ে যে সংগঠক ছিলো, সে ধরনের সংগঠকের অভাব এখন। ক্রিকেটের বিকেন্দ্রীকরণটা একদমই হলো না। ক্রিকেট খুব বেশি ঢাকাকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বেঁচে আছে এইজ লেভেলের ক্রিকেটের কারণে। এইজ লেভেল ক্রিকেট হলো বাংলাদেশের ক্রিকেটের অক্সিজেন। এবং সেখানে একটু বাতাস যোগান দিচ্ছে বিকেএসপি। এর বাইরে কিছু নেই। আমাদের কাছে হয়তো ৫০০-৬০০ কোটি টাকা হয়ে গেছে; কিন্তু সেটাকে আমরা ক্রিকেট উন্নয়নে ব্যবহার করতে পারি নাই।
আপনি যখন বোর্ডে ছিলেন, তারও আগে থেকে আমরা বিকেন্দ্রীকরণের কথা শুনছি।
হ্যা। আমরাও পারি নাই। আমরা একটা নকশা করতে পাতরাম; ২০-২৫টি জেলাকে কেন্দ্র করে বিকেন্দ্রীকরণ করতে পারতাম। কয়েকটা জেলার খেলোয়াড় একসাথে খেলতে পারতো। ধরো তুমি মাদারীপুরে একটা কেন্দ্র করলে; আশেপাশের জেলা থেকে ওখানে ছেলেরা আসতো। পর্যায়ক্রমে ১০-টা জেলা, তারপর ১৫টা জেলা। এভাবে ক্রিকেটটাকে আমরা শক্ত করতে পারতাম। আমার মনে হয় এখানে সংগঠনের অভাব আছে।
তাহলে তো বোর্ডের বিকেন্দ্রীকরণ না করাটাই প্রধান সমস্যা?
এনএসসির নিয়মেও ঝামেলা আছে। দুই বছর লিগ না হলেও তার আগের তিন বছরের যে খেলা হইছে ভিত্তিতে কাউন্সিলরশিপ দেওয়া, ভোট দেওয়া; এগুলো খুবই দুর্বল বিষয়। এখানে ভালোভাবে নজর না দেওয়ার কারণে আমরা লক্ষ্যে যেতে পারি নাই। যখন বোর্ড থেকে কোনো জেলাকে সাসপেন্ড করতে চেয়েছিলাম, তখন বলা হয়েছিলো আমরা এনএসসির নিয়ম ফলো করি; ক্রিকেট বোর্ডের না। এই সমস্ত বিষয়গুলো যদি সমন্বয় করা যেতো, তাহলে হয়তো অনেক এগোতে পারতাম। আমাদের সময়ে আমরা পরি নাই। এখন দুর্বল থেকে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। একটি ভিডিওতে রংপুর ক্রিকেট গার্ডেনের চিত্র দেখলাম। আমি খুবই মর্মাহত ও আতঙ্কিত।