রহমানুল্লাহ গুরবাজের শতকেই প্রাথমিকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা বধের ক্ষেত্র প্রস্তুত করে আফগানিস্তান। কে জানতো এই শতকের পিঠে চড়ে গুরবাজ বিরাট কোহলির রেকর্ডেও ভাগ বসাবেন!
কি অবাক হচ্ছেন বুঝি? সত্যিই তাই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরির মাইল ফলক ছুঁয়েছেন রহমানুল্লাহ গুজরাজ। ২৩ বছর বয়সে পৌছবার আগেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে শতকের মালিক তিনি। ভাবছেন বুঝি কেন দ্বিতীয় হওয়াকে নিয়ে এত মাতামাতি? এই রেকর্ড তিনি আরও একজনের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।
তিনি আর কেউই নন, প্রজন্মের অন্যতম কিংবদন্তি ব্যাটার বিরাট কোহলি। সাদা বলের ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা ব্যাটারও যাকে বলে থাকেন কেউ কেউ।
গুরবাজ তার এই কীর্তিতে পৌঁছেছেন ১০৬ বল খরচ করে। যা তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় দ্রুততম শতক। তার প্রথম দুই দ্রুততম শতক বাংলাদেশের সাথে। টসে জিতে ব্যটিং সিদ্ধান্ত নেয় আফগানরা। তার করা এই শতকের পিঠে চড়েই ৪০ ওভারে করে ২১৮ রান। ৫০ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ৩১১।
ইনিংসের শুরুটা যদিও করেছেন ধীর গতিতে। প্রথম ১৫ বলে করেন কেবলমাত্র চারটি রান। তবে দ্রুতই জ্বলে ওঠেন। লুঙ্গি এনগিডির বলে প্রথম সীমানা পার করেন তিনি। কিছুটা এগিয়ে এসে মিড অফ প্রান্ত থেকে তুলে নেন ৬ রান। দু’বল পর ৪ রানের জন্য খেলে ফেলেন কভার ড্রাইভ।
এরপর স্ট্রাইক রেট যেন ধেয়ে এগোতে থাকে। ৫৬ বলে দেখা পেয়ে যান হাফ-সেঞ্চুরির। ২৭ ওভারের দিকেই ৯০ এর ঘরে ঢুকে পড়েন। ৩৩ ওভারের মাথায় দেখা পেয়ে যান শতকের। তবে সে আনন্দ স্থায়ী হয়নি। ১১০ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ।
গুরবাজের বয়সেই ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা উপুল থারাঙ্গার ছিল ছয়টি শতক। এই বয়সে বাবর আজমও পান ছয় সেঞ্চুরির দেখা। তার এই রেকর্ডে পৌছতে লেগেছে ৪২ ইনিংস। অন্যদিকে, কোহলির লেগেছিল ৬৯ ইনিংস।
আসছে নভেম্বরেই ২৩ ছোঁবেন গুরবাজ। সুযোগ আছে আরও একটা শতক হাঁকানোর। তিনিও সেই আশাতেই থাকবেন হয়তো। আরেকটি শতক হাঁকালেই যে তিনি ওই রেকর্ড বোর্ডে স্বয়ং শচীেন টেন্ডুলকারের রেকর্ডেও ভাগ বসাতে পারেন।