ইংলিশ ফুটবল মহাকাব্যে এক-ফালি তামিল কবিতা

বিমল ইয়োগানাথান এগিয়ে চলা কেবল তার ব্যক্তি সাফল্যই নয়। দক্ষিণ এশীয়দের বিশেষত তামিল সমাজে এ যেন এক ছটা অনুপ্রেরণার আলো। 

পেশাদার ইংলিশ ফুটবলের বাজারটা অভাবনীয় রকমের বিশাল। সেখানে ৩৭০০ জন সক্রিয় খেলোয়াড় আছেন। তাদের মাঝে দক্ষিণ এশীয় বা দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত কতজন আন্দাজ করতে পারেন? সংখ্যাটা খুবই অল্প। মাত্র ২২ জন। তাদেরই একমাত্র তামিল বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় বিমল ইয়োগানাথান।

বয়স কিন্তু বেশি না। মাত্র ১৮ বছর। জন্ম উত্তর ওয়েলসে ট্রেলাওনিড গ্রামে। তার যুব ক্যারিয়ার শুরু হয় স্থানীয় কোনাহস কোয়ে নোম্যাডস দলে।

যেখান থেকে পরে প্রেসট্যাটিন টাউন দলে যোগ দেন। সেখান থেকে ৬ বছর বয়েসে লিভারপুল দল তাকে স্কাউট করে। ফলে জায়গা পান তাদের শ্যাডো স্কোয়াডে। সেখান থেকে ৮ বছর বয়সী বিমল লিভারপুল একাডেমিতে টিকে যান।

তবে পরবর্তীতে বিমল ইএফএল দল বার্নসলির অনুর্ধ্ব-১৬ দলে চলে যান। সেখান থেকে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৩ সালে জয় করেন অনূর্ধ্ব-১৮ ডিভিশন। যেখানে মৌসুমের ৩৪ ম্যাচের ২৯ টিতেই খেলেন ৬ফিট ৩ ইঞ্চির এই মিডফিল্ডার।

তবে সিনিয়র পেশাদার ফুটবলে তাঁর অভিষেক ঘটে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট। ট্র‍্যানমিয়ার রোভার্সের সাথে ম্যাচের ৬৫ তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন তিনি।

মূল দলের পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-২১ দলেও খেলছেন তিনি। নেট পাড়ার নজর কাড়েন মূলত তখনই। ইএফএল কাপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড অনুর্ধ্ব-২১ এর বিরুদ্ধে খেলেন বিমল। যেখানে বাঁ-পেয়ে এই মিডফিল্ডার দু’বার বল জালে জড়ান। এছাড়াও মূল দলের হয়েও ইএফএল কাপে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষে খেলেছেন।

যা একজন লংকান তামিল বংশীয় হিসেবে ব্যাপক এক সাফল্য। তবে মিডিয়ার বুকে বিমলেরও ছিল কিছু অভিযোগ। তিনি বলেন যে, আমি ছোটবেলা থেকেই কোনো তামিল খেলোয়াড় পাইনি। একে সমস্যা বলেই চিহ্নিত করেন বার্নসলি দলের এই জার্সি ৪৫।

পারিবারিক ভাবে শ্রীলংকান তামিল বংশের হলেও ভাগ্যের ফেরে আন্তর্জাতিক ফুটবলটা খেলছেন ওয়েলস দলেই। স্কুল জীবনে ওয়েলস যুব দলের ট্রেনিং একাডেমিতে ডাক পান। খেলেছেন ওয়েলস অনুর্ধ্ব-১৯ দলেও।

বিমল ইয়োগানাথান এগিয়ে চলা কেবল তার ব্যক্তি সাফল্যই নয়। দক্ষিণ এশীয়দের বিশেষত তামিল সমাজে এ যেন এক ছটা অনুপ্রেরণার আলো।

Share via
Copy link