রেকর্ডে ভরা মুলতান টেস্টে এক ইনিংসে ছয় শতকের ঐতিহাসিক এক মাইলফলকে পৌঁছল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। যা বিশ্বক্রিকেট দরবারের দ্বিতীয় এমন নিদর্শন। তবে শতক গুলো এসেছে বল হাতে।
একটু খটকা লাগছে বুঝি। চলতি ইংল্যান্ড বনাম পাকিস্তান টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাত জন পাকিস্তানি বোলার বল করেন। যাতে ছ’জনেরই হাতে এসেছে ১০০ -র বেশি করে রান।
যেখানে সিমারদের মাঝে শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ আর আমের জামেল দিয়েছেন যথাক্রমে ১২০, ১৫৭ ও ১২৬ করে রান। আর ঘূর্ণিবাজদের মাঝে আবরার আহমেদ এবং সালমান আলী আঘা দিয়েছেন ১৭৪ ও ১১৮ টি রান। যাদের পিঠে চড়ে ইংলিশরা ৮২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণার আগে।
এখানে এসে ছোট্ট করে মনে করিয়ে রাখি। সিরিজ শুরুর আগ দিয়েই পাকিস্তান দলের বিশেষত ব্যাটারদের আবেদনেই পিচ বদলে বাধ্য হয় গ্রাউন্ডসম্যানরা। কোচ জেসন গিলেস্পির ছোট্ট শাট আপও আদতে থামাতে পারেনি পাকিস্তানি ব্যাটারদের। যার ফল ভোগ করে তাদের বোলাররা।
নিতান্তই লজ্জ্বার এ রেকর্ড ক্রিকেট জগতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ঘটেছে। প্রথমবার এ কীর্তি গড়েছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল ২০০৪ সালে। সেবারও নিজেদের মাটিতেই সেই কীর্তি গড়ে তারা।
সময়টা ২০০৪ সাল, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বুলাওয়াও টেস্ট। সেবার এল্টন চিগাম্বুরা, ডগলাস হন্ডো, তিনাশে পানিয়ানগারা, ম্লুয়েকি নকালা, তাওয়ান্ডা মুপারিওয়া ও স্টুয়ার্ট মাতসাকেনিয়ারিরা প্রত্যেকে শতরান ছাড়িয়ে যান।
সেই টেস্টেও লঙ্কান দলে মারভান আত্তাপাতু ও কুমার সাঙ্গাকারা করেন যথাক্রমে ২৪৯ ও ২৭০ রান করেন। আর মাহেলা জয়বর্ধন অপরাজিত ১০০ করে সেবার তারা ডিক্লেয়ার দেন। ৭১৩ রানে তারা ইনিংস ঘোষণা করে।
শতরানের এ লজ্জ্বা বোধকরি কেউই চায় না। তবে বিশ্ব ক্রিকেটে হ্যালির ধুমকেতুর রূপে দ্বিতীয়বারের মতো এ রেকর্ডের উদয় হয়েছে। সেটিও পাকিস্তানি বোলারদের হাতে।