সবার আগে ৩০০ ছোঁয়ার কীর্তি

২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল এই তারকার। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি, লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গন তাই তাঁর কাছে বিশেষ। এবার আরাধ্য মাইলফলকও স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই, সিরিজের বাকি সময়টাতে তাঁর আত্মবিশ্বাস আকাশসমই থাকবে।

মাইলফলক ছুঁতে প্রয়োজন ছিল স্রেফ এক উইকেটের, অপেক্ষা তাই আর দীর্ঘ করতে চাইলেন না কাগিসো রাবাদা। মিরপুর প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসেই তিনি পা রাখলেন ইতিহাসের বুকে, লাল বলে পূর্ণ করলেন ৩০০ উইকেটের রেকর্ড। যে সম্ভাবনা আর প্রতিভা নিয়ে তিনি ক্রিকেটে এসেছিলেন সেটার একটা ছাপ রাখলেন ইতিহাসে।

ইনিংসের তখন ১৪তম ওভার, উইকেটে অনেকটাই সেট হয়ে গিয়েছিলেন মি. ডিপেন্ডেবল। কিন্তু প্রোটিয়া তারকা তাঁকে টিকতে দিলেন না আর, অফ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে পিচ করিয়ে দারুণ একটা ইনসুইং – মুশফিকের স্ট্যাম্প তখন এলোমেলো। ৩০০তম উইকেটটা বোধহয় এর চেয়ে ভাল ভাবে পাওয়ার উপায় নেই।

কেবল ৩০০ উইকেটের ক্লাবে ঢুকেই সন্তুষ্ট হননি রাবাদা, গড়েছেন টেস্ট ইতিহাসের অনন্য এক রেকর্ড। বারো হাজারের চেয়ে কম বল করে আর কেউ পারেননি এত ব্যাটারকে আউট করতে, স্রেফ তিনিই পেরেছেন। তাঁর প্রয়োজন হয়েছে কেবল ১১,৮১৭ বল।

সর্বনিন্ম ডেলিভারিতে উইকেটের ট্রিপল সেঞ্চুরি পূরণের তালিকায় দুই নম্বরে আছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুস। ১২,৬০২ বল করার পর মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। বাকিদের মধ্যে ডেল স্টেইনের লেগেছে ১২, ৬০৫ বল; অ্যালান ডোনাল্ডের ১৩৬৭২ বল এবং ম্যালকম মার্শালের ১৩৭২৮ বল।

বাঘা বাঘা তারকাদের ওপরে নিজের নামটা দেখে নিশ্চয়ই গর্ববোধ করছেন কাগিসো। তাছাড়া দেশের ক্রিকেট ইতিহাসেই তো ম্যাচের হিসেবে তৃতীয় দ্রুততম তিনশো উইকেট শিকারী এখন তিনি।

২০১৫ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল এই তারকার। অভিষেকেই হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছিলেন তিনি, লাল-সবুজের ক্রিকেটাঙ্গন তাই তাঁর কাছে বিশেষ। এবার আরাধ্য মাইলফলকও স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের বিপক্ষেই, সিরিজের বাকি সময়টাতে তাঁর আত্মবিশ্বাস আকাশসমই থাকবে।

 

Share via
Copy link