অফসাইড বনাম ক্লিনিক্যাল ফিনিশিং – প্রতীক্ষিত এল ক্ল্যাসিকোর সবচেয়ে সেরা, সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এটিই। একদিকে রিয়াল মাদ্রিদ কেবল অফসাইডের ফাঁদে নিজেদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছে অন্যদিকে, বার্সেলোনা দুর্ধর্ষ ফিনিশিংয়ের পসরা সাজিয়ে আদায় করে নিয়েছে মনে রাখার মত একটা জয়। যার শুরুটা করেছিলেন রবার্ট লেওয়ানডস্কি।
লেওয়ানডস্কি আসলে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিলেন রিয়ালকে; গোলশূন্য প্রথমার্ধ শেষে দলটা যখন নিজেদের গুছিয়ে নিতে শুরু করেছিল তখনই আঘাত হেনেছেন তিনি। মার্ক ক্যাসাদোর বাড়িয়ে দেয়া বল ফাঁকায় পেয়ে ডি বক্সের বাইরে থেকেই নিয়েছেন জোড়ালো শট, গোললাইন থেকে খানিকটা বেরিয়ে আসা আন্দ্রে লুনিনের পক্ষে সম্ভব হয়নি সেই শট ফেরানো।
এক মিনিটের মধ্যে আবারো স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন পোলিশ তারকা, এবার একেবারে মাপা হেডার। অ্যালেক্স বালদের ক্রস থেকে পারফেক্ট হেডারে তিনি খুঁজে নেন জালের ঠিকানা।
তবু হয়তো স্বপ্ন বেঁচেছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসদের, কিন্তু ওয়ান্ডার বয় লামিন ইয়ামালের দুরূহ কোণ থেকে নেয়া শট যখন জাল কাঁপিয়ে দিয়েছিল তখন সব আশা একেবারে মিশে গিয়েছে মাটিতে। সেই সাথে এল ক্ল্যাসিকোর ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড লিখতে হয়েছে নতুন করে, মর্যাদার এ লড়াইয়ে ইয়ামাল সবচেয়ে কম বয়সে পেয়েছেন গোলের দেখা।
এরপর আসলে স্বাগতিকরা আর জয়ের চেষ্টা করার সাহসটুকু পায়নি, কেবল চেষ্টা করেছে ব্যবধান কমানোর। যদিও ব্যবধান কমার পরিবর্তে ঘটেছে উল্টোটা, দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের শেষটা রাফিনহা করেছেন গোল দিয়েই। কুইক কাউন্টারের সুবাদে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি, অতঃপর চিপ শটে বোকা বানান লুনিনকে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু তখন বিপর্যস্ত, বিধ্বস্ত।
হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে বার্সেলোনা যেভাবে খেলেছে, তাতে এটা নিশ্চিত ছিল এবারের ক্ল্যাসিকোতে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখী হবে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এতটা দুর্ভেদ্য প্রশ্নের মুখে পড়বে, সেটা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি তাঁরা।