রুবেন আমোরিম স্পোর্টিং সিপিকে নতুন জীবন দেন। ২০২০-২১ সালে তাদের ১৯ বছরের মধ্যে প্রথম প্রাইমেইরা লিগ শিরোপা জিতিয়ে। তার অভিনব ৩-৪-৩ ফরমেশন এবং তরুণ খেলোয়াড়দের বিকাশের ওপর জোর দিয়ে তিনি দলকে শক্তিশালী করেন। পাশাপাশি, টানা দুটি তাকা দা লিগা শিরোপা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যোগ্যতা অর্জন করে স্পোর্টিংকে শীর্ষ পর্তুগিজ ক্লাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, সীমিত সম্পদেও দলকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যান।
রুবেন আমোরিমের এই সাফল্য এবং ট্যাকটিক্যাল স্টাইল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, কারণ তিনি এক অভিনব ৩-৪-৩ ফরমেশনে খেলার জন্য বিখ্যাত। এ ফরমেশনে তিনি ডিফেন্স, মিডফিল্ড ও ফরোয়ার্ড লাইনে ভারসাম্য রক্ষা করেন এবং খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক ভূমিকা নির্ধারণ করেন, যা দলের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায়।
আমোরিমের ট্যাকটিকসের একটি মূল দিক হলো তার উইংব্যাকদের আক্রমণাত্মক ব্যবহার। তার ৩-৪-৩ সিস্টেমে উইংব্যাকরা মাঠের পাশে খেলে আক্রমণ গড়ে তোলে এবং প্রতিপক্ষের রক্ষণকে চাপের মুখে ফেলে। এ কৌশলটি ইউনাইটেডের ফাস্ট-পেস খেলোয়াড়দের জন্য উপযুক্ত, বিশেষত যখন তারা প্রতিপক্ষের রক্ষণে দ্রুত আক্রমণ তৈরি করতে চায়।
তিনি ‘মিড-ব্লক’ রক্ষণ কৌশল ব্যবহার করেন, যেখানে খেলোয়াড়েরা প্রতিপক্ষকে মাঠের মাঝখানে চেপে ধরে, যার ফলে তারা বল দখলের সুযোগ পায় এবং দ্রুত কাউন্টার-আক্রমণে যেতে পারে। এটা ইউনাইটেডের তরুণ খেলোয়াড়দের শক্তি ও গতির সঙ্গে মিলে যায়, কারণ তারা দ্রুত প্রতিপক্ষের ভুল থেকে গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
তাঁর পজিশনাল ফুটবলে খেলোয়াড়দের গতিশীলতা ও স্মার্ট পাসিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমোরিম পাসিং চ্যানেল ও বলের দখল নিয়ে খুব যত্নশীল এবং তার দলের মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা মাঠে জায়গা সৃষ্টি করতে ও প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করতে দক্ষ। তার এই ট্যাকটিক্যাল গুণাবলি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বলের দখল ধরে রেখে পরিকল্পিত আক্রমণ সাজাতে সাহায্য করতে পারে, যা প্রতিপক্ষের জন্য মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মনে করে, রুবেন আমোরিমের এই উদ্ভাবনী কৌশল এবং তীক্ষ্ণ কৌশলগত ক্ষমতা ক্লাবটির জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।