অলরাউন্ডার কামিন্সের সামনে হারিসদের সব প্রচেষ্টা বৃথা

হারিস রউফরা চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্যাট কামিন্স আবারও বনে যান অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক।

ম্যাচ জমিয়ে তোলার একটা বৃথা চেষ্টাই চালালেন হারিস রউফ। তিন বলের ব্যবধানে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে তার সেই স্ফুলিঙ্গ, আগুন হওয়ার আগেই নিভে গেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। যার দায় ভার যদি পুরো দলের ব্যাটিং ইউনিটকে দেওয়া হয়, তাতে অবশ্য ভুল হওয়ার অবকাশ নেই। টপ থেকে মিডল- কোন ব্যাটারই যথাযথ পারফরমেন্স করতে পারেননি।

বরং বোলাররাই ব্যাট হাতে রান তুলেছেন। শাহিন শাহ আফ্রিদি ১৯ বলে ২৪ রান করেছেন। অন্যদিকে, নাসিম শাহ ৩৯ বলে ৪০ রানের একটা কার্যকর ইনিংস উপহার দিয়েছেন। এই দুই বোলারের ব্যাট হাতের কৃতিত্ব পাকিস্তানকে ২০৩ রান অবধি নিয়ে গেছে।

এত স্বল্প রান ডিফেন্ড করা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। আবার পর্যাপ্ত অস্ত্রও ছিল না পাকিস্তানের বোলিং ইউনিটে। মাত্র চারজন ফ্রন্টলাইন পেসার নিয়ে খেলেছে পাকিস্তান। তবুও হারিস রউফরা চেষ্টা চালিয়েছেন। মেলবর্ন স্টার্সের হয়ে মেলবর্নে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন তিনি।

স্টিভেন স্মিথকে নিজের উইকেটে পরিণত করেছেন। এরপর ২১তম ওভারের প্রথম বলে ফিরিয়েছেন মার্নাস লাবুশেনকে। এরপর তৃতীয় বলে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়েছেন তিনি। তাতে করে ১৩৯ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

সেখান থেকে ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে চেয়েছিল পাকিস্তানের বাকি বোলাররা। ১৮৫ রানে অজিদের অষ্টম উইকেটের পতন ঘটে। তখনও জয় থেকে বেশ খানিকটা দূরেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢেকে দেওয়ার, একটা সুযোগ এসেছিল পাকিস্তানি বোলারদের সামনে।

কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্যাট কামিন্স আবারও বনে যান অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক। লো স্কোরিং ম্যাচে তিনি অজিদের বিজয়ের কেতন উড়িয়ে মাঠ ছেড়েছেন। ৩১ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থেকেছেন কামিন্স। এছাড়াও বল হাতে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি। তার অলরাউন্ডিং পারফরমেন্সে ম্লান হয়েছে হারিস রউফের প্রচেষ্টা।

Share via
Copy link