ফ্লিকের তুরুপের তাস ফ্র্যাঙ্কি

এত প্রতিযোগিতামূলক মিড ফিল্ডের মধ্যে কি সে নিজের জায়গা করে নিতে পারবে?

ফ্লিকের বেশ পছন্দের খেলোয়াড় ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং। ডি ইয়ংকে তার সৃজনশীলতা এবং কৌশলগত বুদ্ধিমত্তা পুরোপুরি কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দিতে আগ্রহী ফ্লিক। বায়ার্ন মিউনিখেও নিতে চেয়েছিলেন ডি ইয়ংকে।

ইনজুরির লম্বা ফাঁড়া কাটিয়ে ফিরেছেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। তাকে দলে পাওয়ার পর, হানসি ফ্লিক দ্রুত তাকে তার গতিশীল, আক্রমণাত্মক, এবং বল-নিয়ন্ত্রণমূলক মিডফিল্ডের পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করার উপায় খুঁজতে থাকেন। যার ফলে মাদ্রিদের বিপক্ষে এবং এস্পানিওলের বিপক্ষে বদলি খেলোয়ার হিসেবে আমরা তাকে দেখতে পারি।

ডি ইয়ংকে একটি ডিপ লাইন প্লেমেকারের ভূমিকায় রেখে, ফ্লিক তাকে বলের জন্য ডিফেন্ডারদের মাঝখানে নেমে আসতে বলেন। এই পজিশনিং ডি ইয়ংকে গভীর থেকে খেলা সাজানোর সুযোগ দেয়, যেখানে উভয় দিকের ফুল-ব্যাকরা উপরে উঠে প্রশস্ততা তৈরি করে, এবং তাকে পাসের দুয়ার খুলে দেয়।

ডি ইয়ং ডিফেন্সের লাইন ভাঙার জন্য অপরিহার্য। সাধারণ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের মতো না হয়ে, ডি ইয়ংয়ের ড্রিবলিং ক্ষমতা তাকে প্রেসিং লাইন পার করে বল নিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়, যা আক্রমণের সুযোগ সৃষ্টি করে।

তবে ফ্লিকের কৌশল শুধু আক্রমণাত্মকই ছিল না। তিনি ডি ইয়ংয়ের প্রেসিং ভূমিকাটিও গুরুত্ব দেন, তাকে পাসের লেনগুলো পড়তে এবং প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডারদের তার গতি দিয়ে থামাতে প্রশিক্ষণ দেন। ফ্লিক ডি ইয়ংয়ের স্ট্যামিনা এবং গেম বোঝার দক্ষতাকে বিশ্বাস করেন, যাতে তিনি গেমটি পড়ে দ্রুত রুখে দাঁড়াতে পারেন এবং কাউন্টার-অ্যাটাক ঠেকাতে প্রথম প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করতে পারেন।

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ফ্লিকের প্রশিক্ষণ কৌশল ফল দিতে শুরু করে। কারণ ডি ইয়ংয়ের প্রচণ্ড প্রেসিংয়ের চাপ সামলে খেলা পরিচালনা এবং আক্রমণ শুরুর দক্ষতা তাকে দলের সঙ্গে পুরোপুরি মানিয়ে নিতে সাহায্য করে। ফ্লিকের সিস্টেমে ডি ইয়ংয়ের বহুমুখিতা দলকে আরও গতিশীল, শক্তিশালী এবং সংহত করে তোলে।

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ডি ইয়ংকে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামানোর পর বার্সার পুরো খেলার ধরন পাল্টে যায়। ডি ইয়ং একাই পুরো মিডফিল্ডের দখল নিয়ে নেয় এবং নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে। যার ফলে রিয়াল মাদ্রিদের দ্রুত এবং গতিশীল খেলা তেমন কাজে লাগছিল না।

অন্যদিকে, এস্পানিওলের বিপক্ষে যদি নজর দেওয়া হয়, এস্পানিওল আগে থেকেই ডিফেন্সিভ খেলছিল। তারা হাই প্রেস করছিল না। ফলে ডি ইয়ং বদলি হিসেবে নামার ফলে খেলার গতি আরও স্তিমিত হয়ে যায়। যার কারণে বার্সার আক্রমণাত্মক খেলার প্রবণতা কমে গিয়েছিল।

ডি ইয়ং ফ্লিকের জন্য এক তুরুপের তাস বলাই বাহুল্য। কিন্তু এত প্রতিযোগিতামূলক মিডফিল্ডের মধ্যে কি সে নিজের জায়গা করে নিতে পারবে? বার্সার মিডফিল্ডে কাসাদোর গুরুত্ব যে কতটুকু তা তো আমরা বুঝতেই পারছি। ডি ইয়ং কি পারবে তার গুরুত্ব বুঝাতে?

Share via
Copy link