নতুন এক রোমাঞ্চকর দ্বৈরথের শুরু হয়েছে। ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার টি-টোয়েন্টি লড়াইয় জন্ম দিচ্ছে নিত্য-নতুন স্মৃতি। এই দুই দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে।
দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের পথে থাকলেও, সুরিয়া কুমার যাদব বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত এক ক্যাচ লুফে নেন। প্রোটিয়াদের জয়ের পথে রাখা ডেভিড মিলার আউট হয়ে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। যা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
এবার সেই সুরিয়াকুমার যাদব অধিনায়ক বেসে যাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকায়। যেখানে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের ভালো রেকর্ড ধরে রাখার জন্য প্রস্তুত। প্রোটিয়াদের মাটিতে খেলা ৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ভারত ছয়টিতে জিতেছে এবং এই সাফল্য ধরে রাখতে চায় টিম ইন্ডিয়া।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই দলই একে অপরের কন্ডিশনে ভালো পারফর্ম করে আসছে; দক্ষিণ আফ্রিকা ভারতের ধীরগতির পিচে নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে, আর ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার দ্রুত ও বাউন্সি পিচে নিজেদের টিকে থাকার শক্তি দেখিয়েছে।
তাদের মধ্যে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি ২০০৬ সালে ওয়ান্ডারার্সে হয়েছিল, যেখানে ভারত ৬ উইকেটে জয়লাভ করে। সেটি ছিল শচীন টেন্ডুলকারের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতের জয়টি ঐতিহাসিক ছিল, যা তাদের প্রথম টি-টোয়েন্টি শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে দিয়েছিল।
ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক-টোয়েন্টি সিরিজে, ডেভিড মিলার সর্বাধিক রান সংগ্রাহক। ২১ ম্যাচে ৪৫২ রান সংগ্রহ করেছেন, যার মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১০৬। অন্যদিকে, ভূবনেশ্বর কুমার ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন। ১২ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
সুরিয়াকুমার যাদব দক্ষিণ আফ্রিকায়ও ভালো পারফর্ম করেছেন; গত ডিসেম্বরে তিনি দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৫৬ এবং ১০০ রান করেন, তার সেঞ্চুরির কারণে সিরিজটি ১-১ ব্যবধানে ড্র হয়।
ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এই টি-টোয়েন্টি প্রতিদ্বন্দ্বিতা উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়, যেখানে দুই দলই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।