রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছে, হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি – চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাতে দুই হেভিওয়েট দল পথ হারালেও পথ হারায়নি লিভারপুল। অবশ্য হারাবেই বা কেন, লুইস দিয়াজ ছিলেন তো। জাভি অলোনসোর অ্যানফিল্ডে ফেরাটা কি নিদারুনভাবেই রাঙালেন তিনি। তাঁর হ্যাটট্রিকেই ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে বায়ার লেভারকুসেনকে হারিয়েছে অলরেডরা।
প্রথমার্ধ প্রায় পুরোটা নির্বিষ ছিল, জেরেমি ফ্রিমপংয়ের গোল বাতিল হওয়া ছাড়া বলার মত কিছু ঘটেনি। অথচ দ্বিতীয়ার্ধের চিত্রপট পুরোপুরি উল্টো! কলম্বিয়ান উইঙ্গার নিজেই তো বিরতির আগে কিছু করতে পারেননি, অথচ বিরতির পর একে একে তিন গোলের দেখা পেয়েছেন তিনি। মজার ব্যাপার, নব্বই মিনিট খেলেছে এমন সবার মধ্যে তাঁর টাচ সবচেয়ে কম।
৬১ মিনিটের মাথায় কার্টিস জোনস ডিফেন্স চেরা পাসে বল পাঠান দিয়াজের উদ্দেশ্যে, সেই বল গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে জালে পাঠিয়ে ধ্বংসলীলার সূচনা করেন তিনি। এক মিনিট পরেই তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কডি গ্যাকপো, মোহামেদ সালাহর ক্রস থেকে হেডারে গোল করেন তিনি। চোখের পলকে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় দুই গোলের ব্যবধানে।
ম্যাচের বাকি অধ্যায় দিয়াজের, ৮৩ এবং ৯২ মিনিটে দুইবার লুকাস রাডেকিকে পরাস্ত করেন তিনি। লিভারপুল ক্যারিয়ারের এটিই তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক; কৃতিত্ব দিতে হয় কোচ আর্নে স্লটকেও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম তিন ম্যাচে গোল না পাওয়া সত্ত্বেও এদিন তাঁকে স্ট্রাইকারের পজিশনে খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই ট্যাকটিশিয়ান। আর সেই সিদ্ধান্ত শেষমেশ সম্ভাব্য সেরা উপায়েই ফলপ্রসূ হয়েছে।
অবশ্য স্লটের অধীনে এই তারকা আসলেই অনন্য একজন, চলতি মৌসুমে তাঁকে তাই দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে। আগেও পারফর্ম করেছেন তিনি, তবে এতটা তীক্ষ্ণ আর দুরন্ত মনে হয়নি। ঘরোয়া লিগে ইতোমধ্যে পাঁচ গোল এবং দুই অ্যাসিস্ট আছে তাঁর নামের পাশে।
চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে ইউরোপীয়ান মঞ্চে এখন সবার উপরে লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগেও দশ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে অবস্থান তাঁদের – সময়টা সত্যিই দারুণ কাটছে অ্যানফিল্ডবাসীর।