উড়তে থাকা বার্সেলোনাকে মাটিতে নামিয়ে আনলো রিয়াল; না, রিয়াল মাদ্রিদ নয় বরং রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হেরে সাত ম্যাচ পর পয়েন্ট হারানোর স্বাদ পেলো দলটি। সেভিয়া, বায়ার্ন মিউনিখ কিংবা রিয়াল মাদ্রিদ কাউকেই পাত্তা দেয়নি কাতালানরা; এই তিন দলকেই গুণে গুণে দিয়েছিল তেরো গোল। অথচ সোসিয়েদাদের বিপক্ষে এলোমেলো হয়ে গেল সবকিছু।
ব্যবধান বেশি নয়, স্রেফ একটা গোলের সুবাদে বার্সেলোনার বুকে ছুরি বসিয়ে দিলো সোসিয়েদাদ। ওসাসুনার বিপক্ষে গত সেপ্টেম্বরে হারের পর এটিই তাঁদের প্রথম পরাজয়।
বার্সেলোনা কতটা নিষ্প্রাণ ছিল সেটা বোঝার জন্য শট অন টার্গেট দেখাটাই যথেষ্ট। সবমিলিয়ে এগারো বার শট নিয়েও গোলমুখে একটা শটও নিতে পারেনি তাঁরা, এমনকি বিগ চান্সও তৈরি করতে পারেনি একটা।
অবশ্য প্রতিপক্ষের সাথে গত ম্যাচগুলোতে যা ঘটেছে এদিন তাই ঘটেছে ব্লাউগানা জার্সিধারীর বিপক্ষে। রবার্ট লেওয়ানডস্কি গোল করেই ফেলেছিলেন কিন্তু ভার অফ সাইডে গোল বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায়। পরের সময়টাতে আর সেভাবে গুছিয়ে উঠতে পারেনি তাঁরা।
উল্টো ৩৩ মিনিটের মাথায় লুকা সুচিচ দারুণ একটা হেডারে খুঁজে নিয়েছিলেন ডি বক্সে দাঁড়ানো শেরালডো বেকারকে। এরপরই বেকারের মাটি কামড়ানো বিদ্যুৎ শট এবং গোল – ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে অবশ্য স্কোরবোর্ডে আধিপত্যের ছাপ আরো বেশি পড়তে পারতো। কিন্তু ইনাকি পেনা পাঁচটা সেভ করে শ্রদ্ধা আদায় করে নিয়েছে, তিনি না থাকলে মানসম্পানের কি যে হতো।
বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় সিটব্যাক ছিল লামিন ইয়ামালের না থাকা, তিনি না থাকায় আক্রমণভাগ হয়ে পড়েছিল অতিরিক্ত রাফিনহা নির্ভর। ফলে ডিফেন্ডাররাও কড়া মার্কিংয়ে রেখেছিল রাফিনহাকে।
সবমিলিয়ে একটা বাজে দিন কাটালো বার্সেলোনা, যদিও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান এখনো হারাতে হয়নি তাঁদের। তেরো ম্যাচ শেষে তেত্রিশ পয়েন্ট আছে তাঁদের, দুই নম্বরে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্টের পাথর্ক্য ছয়ের।
অর্থাৎ দুশ্চিন্তার এখন অন্তত কোন কারণ নেই। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর কোন বিকল্প নেই, পরাজয়ের বৃত্ত কোনভাবেই বড় করা যাবে না – বার্সা কাপ্তান রাফিনহার চোখে মুখেও ছিল এই বার্তা।