বাংলাদেশ টেস্ট পারে না, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিও পারে না; ক্রিকেটের আলোচনায় বাংলাদেশের শক্তি কেবল ওয়ানডে। অন্তত ২০১৫ সালের পর থেকে ওয়ানডেতে একটা জায়গা করে নিতে পেরেছিল টাইগাররা। কিন্তু হুট করেই পায়ের নিচে মাটি নড়বড়ে ঠেকছে; মনে হচ্ছে পঞ্চাশ ওভারের ফরম্যাটে বাংলাদেশ বুঝি এখন দুর্বলতম দল।
মনে হবেই না কেন, বর্তমানে আইসিসির র্যাংকিংয়ে লাল-সবুজের অবস্থান নবমে। তবে কাগজ কলমে নয়, বাস্তবতাও বলছে পিছিয়ে যাওয়ার কথা। বিশেষ করে ২০২২ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর থেকেই ভেবে দেখা যাক।
পরের সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রায় পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে সিরিজ হেরে বসেছিল বাংলাদেশ। একই ভাগ্য বরণ করতে হতো ভারত সিরিজেও, কিন্তু মেহেদি হাসান মিরাজের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স আর লোকেশ রাহুলের ক্যাচ মিসের সৌজন্যে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে স্বাগতিকরা। যদিও পরবর্তীতে ইংল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের কাছে ঠিকই হেরে বসেছিল বাংলাদেশ।
এরপর তো অধিনায়কত্ব নিয়ে নাটকীয়তায় এলোমেলো হয়ে যায় পুরো ক্রিকেটাঙ্গন। সেটার প্রভাব পড়ে নিউজিল্যান্ড সিরিজে এবং বিশ্বকাপে। স্মরণকালের সবচেয়ে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল টিম টাইগার্স, নেদারল্যান্ডসের কাছেও হারতে হয়েছিল। সেমিফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে ভারতের মাটিতে পা রাখলো সাকিব বাহিনী স্রেফ দুই ম্যাচ জিতেই ফিরে আসে দেশে। বছরের শেষদিকে কিউই সফরেও বিস্ময় জাগানিয়া কিছু করা সম্ভব হয়নি।
সবশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ পরাজয়ের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। সাদা বলে যে আফগানরা এখন অনেক এগিয়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে দু’দলের এই দ্বৈরথে।
পুরোটা সময় বাংলাদেশ কোচ হিসেবে রাসেল ডোমিঙ্গো, চান্দিকা হাতুরুসিংহে, ফিল সিমন্সকে পেয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত – অর্থাৎ এটা স্পষ্ট যে টিম ম্যানেজম্যান্ট বা নেতৃত্ব নয়, বাংলাদেশের সমস্যা আরো অনেক গভীরে। বৈপ্লবিক পরিবর্তন ছাড়া তাই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।