ইয়ুর্গেন ক্লপ দীর্ঘদিন যাবত লিভারপুলকে শক্ত হাতে সামলেছেন। ক্লপ চলে যাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল যেন লিভারপুল আর সেই ধারাবাহিক পারফরমেন্স দেখাতে পারবে না। কিন্তু ‘আর্নে স্লট’ নামটি যেন বিস্ময়ের পরিপূরক। ক্লপ চলে যাওয়ার পর আর্নে স্লট লিভারপুলের হাল এমনভাবে ধরেন যেন ক্লপ কখনও লিভারপুলকে একা করে দিয়ে চলে যাননি।
আর্নে স্লট এই মৌসুমের শুরুতে লিভারপুলে যোগদান করেন। তিনি খুব দ্রুতই লিভারপুলের খেলার ধরনের সাথে মানিয়ে নিয়েছেন। তার মতাদর্শ এবং কৌশলের কারণে লিভারপুল এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ধারাবাহিক সাফল্যের দেখা পাচ্ছে।
আর্নে স্লট ইতোমধ্যেই প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের দ্রুততম ১০ ম্যাচের জয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি এই প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে প্রথম ১২ ম্যাচের মধ্যে ১০টি ম্যাচ জিতেছেন ১টি ড্র এবং ১টি ম্যাচ হেরেছেন।
এই রেকর্ডটি বর্তমানে যৌথ ভাবে রয়েছে আর্নে স্লট এবং গাস হিডিংকের নামে। তাদের পরেই রয়েছেন কার্লো আচেলত্তি। কার্লো আনচেলত্তিও ১২ ম্যাচের মধ্যে ১০ ম্যাচ জিতেছিলেন চেলসির হয়ে। কিন্তু সে বাকি দুটো ম্যাচে হেরেছিলেন। যার ফলে তিনি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
আর্নে স্লট খুব ভালোভাবেই লিভারপুলের মাঠের খেলা পরিচালনা করে আসছেন। তার মতাদর্শে এবং কৌশলে খেলতে পেরে খেলোয়াড়রাও খুশি। লিভারপুলের এমন ধারাবাহিকতা কি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, নাকি তারা মুখ থুবড়ে পড়বে?
এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় লিভারপুলের হাতে ধরা দেবে শিরোপা। প্রিমিয়ার লিগে তো দলটি ছুটছে আপন গতিতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও বাড়ছে সম্ভাবনা। আর্নে স্লট নিজের প্রথম মৌসুম রাঙিয়ে রাখতে চাইবেন নিশ্চয়ই।