মাইলফলকের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন, হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে ফেলতে পারবেন এমন দূরত্বে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু কি একটা যেন ঘটে গেলো পর্দার পিছনে, ভাগ্য বিধাতা একটু যেন রুষ্ট হলেন। আর সেজন্যই সেঞ্চুরি পূর্ণ করা হয়নি কালাম সিদ্দিকির; ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন ৯৫ রান করে – বড় মঞ্চে বড় কিছু করার কাছাকাছি পৌঁছেও না করতে পারার আক্ষেপ সঙ্গী হয়েছে তাঁর।
অবশ্য আক্ষেপ আরো বাড়বে এই ওপেনারের, কেননা দলের হারের পিছনে দায়টা তো আসলে তাঁরও। ৭০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেই প্রায় পুরো ইনিংসের অর্ধেক একাই খেলেছেন তিনি, অন্তত এসময়ে এসে এমন ব্যাটিং কাম্য নয়। আরেকটু ক্যালকুলেটিভ থাকলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো।
২২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে বাংলাদেশ যুব দলের দায়িত্ব কাউকে নিতে হতো, সেটাই করেছেন এই ব্যাটার। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে তিনি ধৈর্য আর গেমসেন্সের প্রত্যাশিত প্রদর্শনী দেখিয়েছেন।
শুরুতেই ওপেনার জাওয়াদ আবরারের সঙ্গে গড়েছিলেন পঞ্চাশোর্ধ জুটি। কিন্তু এরপরই খানিকটা ছন্দপতন ঘটে, দলীয় সংগ্রহ শতরানের গন্ডি পেরুনোর আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। কিন্তু কালাম সেই ধ্বস আর দীর্ঘায়িত হতে দেননি, একপ্রান্ত আগলে দলকে ধরে রেখেছিলেন জয়ের পথে।
তাতেই ভুলটা হয়েছে, প্রতিরোধ গড়তে গিয়ে আস্কিং রান রেটের চাপ বাড়িয়েছেন ক্রমাগত। একের পর এক ডট বলে নিজেদের ওপরেই চাপ বাড়িয়েছেন। আর যখনি সেই চাপ বাউন্ডারির বাইরে উড়িয়ে মারার কথা তখনি আউট হয়ে দলকে ঠেলে দিয়েছেন বিপর্যয়ের দিকে।
দায়টা যে এই তরুণের একার সেটাও নয়, নড়বড়ে মিডল অর্ডারকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। তবে তাঁর আপাতত নিজেকে নিয়ে কাজ করা উচিত; বড় ইনিংস খেলার সামর্থ্য আছে তাঁর কিন্তু সেটা যেন দলের পরাজয়ের কারণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।