ফোর্থ কি ফিফথ স্ট্যাম্পের ফুলার লেন্থ ডেলিভারি। উইকেটের পেছনে ক্যাচ। ‘ঐতিহ্যবাহী’ এই কায়দাতেই আউট হয়ে ফিরে গেলেন বিরাট কোহলি। আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ঠিক বিপরীত পথেই হাঁটলেন এবার।
রোহিত শর্মা লাইফ পেলেন খোদ মিশেল স্টার্কের বলে। এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন। কিন্তু, নো-বলের সুবাদে বেঁচে যান। তবে, তাঁরও ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয় কেবল ছয় রানের জন্য। নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ ১২০ রান তুলতে রোহিত শর্মা আউট হয়েছেন পাঁচ বার।
টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের ব্যাটিং অর্ডার আবারও ঢেলে সাজানো উচিৎ কি না ভারতের? – সেই প্রশ্ন তাই এখন তোলাই যায়। আগের টেস্টে ভারতের বোলাররা তাও ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার সেটাও হয়নি। দিবারাত্রীর টেস্টে ১৫৭ রানের লিড অনেক বড় ব্যাপার। অ্যাডিলেডে তাই অস্ট্রেলিয়া চালকের আসনে ছিল নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের পরই।
জবাব দিতে নেমে খেই হারিয়ে ফেলে ভারতের ব্যাটাররা। পরিসংখ্যান ছিল ভারতের বিপক্ষে। দিবারাত্রীর ম্যাচে এখন অবধি মাত্র দু’বার ৫০ এর বেশি লিড থাকার পরও হারের স্বাদ পাওয়ার নজীর আছে মাত্র দু’টো। ভারতকেও এবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রায় অসম্ভব এই লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামতে হয়।
আর সেখানে তাঁরা ব্যর্থ পুরোদমে। মাত্র ১০৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় সফরকারীরা। মিশেল স্টার্ক, স্কট বোল্যান্ড আর প্যাট কামিন্সরা রীতিমত আগুন ঝড়িয়েছেন। সেই আগুনের বিপরীতে ভারত প্রতিরোধ গড়তে পেরেছে খুবই সামান্যই। অ্যাডিলেডে এখন ম্যাচটাকে চতুর্থ দিনে নিতেই বিরাট ইতিহাস গড়তে হবে ভারতকে!