ইমনের এক ঢিলে তিন শিকার

হোয়াট অ্যান ওভার! – ধারাভাষ্যে বসে কে যেন কথাটা বললেন। লো-স্কোরিং ম্যাচে এমন একটা স্পেলই ফলাফলের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে সেই কাজটাই করলেন ইকবাল হোসেন ইমন।

হোয়াট অ্যান ওভার! – ধারাভাষ্যে বসে কে যেন কথাটা বললেন। লো-স্কোরিং ম্যাচে এমন একটা স্পেলই ফলাফলের মোড় ঘুড়িয়ে দিতে পারে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের হয়ে সেই কাজটাই করলেন ইকবাল হোসেন ইমন।

একই ওভারে এক বলের ব্যবধানে তিনি সাজঘরে ফেরালেন ভারতের দুই ব্যাটারকে। প্রথমে উইকেটের সেট ব্যাটার কার্তিকেয়া কেপিকে। তিনি উইকেটের পেছনে দাঁড়ানো ফরিদ হাসানকে। এক বল বিরতিতে আবারও ঠিক সেই একই দৃশ্য।

রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে গেলেন নিখিল কুমার, আউট হলেন ঠিক একই ভাবে। এক ওভারেই ম্যাচের দিক নির্দেশনা পাল্টে ফেললেন পেসার ইকবাল হোসেন ইমন। পরের ওভারে আরেকবার আঘাত। পরপর তিনটা উইকেট, তিনটাই কট বিহাইন্ড। সেই তিন উইকেটও আবার এসেছে মাত্র আট রানের মধ্যে।

নি:সন্দেহে ম্যাচে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে দুবাইয়ের দর্শক, যা বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল বলা যায়। মনে হতে পারে, দুবাইয়ে নয় খেলাটা আদতে হচ্ছে মিরপুরে।

আর সেই উৎসাহে দুই দলের দ্বৈরথ যেন যুদ্ধে রূপ নিল। বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের মুহর্মুহ আবেদনে ব্যস্ত থাকল ভারতীয় ব্যাটাররা। মাঝে ক্রিজের মধ্যেই ভারতীয় ব্যাটারের সাথে কথার লড়াই হল বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল হক তামিমের।

সেই লড়াইয়ে দুবাই যেন বাংলাদেশের পক্ষই নিল। গ্যালারি থেকে ‘ইন্ডিয়া ভুয়া’ স্লোগান শোনা গেল কয়েকবার। টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডার – সেই অর্থে ভারতের কোনো ব্যাটারকেই দুবাইয়ে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশ দল। চতুর্থ উইকেটে পাওয়া ২৯ রানই এখন পর্যন্ত ভারতের সর্বোচ্চ।

Share via
Copy link