ডিয়ার শুভাগত হোম, আপনার এই ম্যাচ ফিনিশের চিত্রনাট্য কার লেখা? না, শুভাগত হোম স্যার ইয়ান বোথাম নন। তবে, তিনি সিলেটে ম্যাচ ফিনিশের যে অভাবনীয় কাব্য রচনা করলেন, তক নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বহুকাল চর্চা হতে বাধ্য।
আক্ষরিক অর্থেই সিলেটের ময়দান ঢাকা বিভাগের জাভেদ মিয়াঁদাদ হয়ে উঠলেন শুভাগত হোম। শেষ বলে জয়ের জন্য ঢাকার দরকার পাঁচ রান। পেসার তোফায়েল আহমেদের লো ফুলটসে বল কাভারের ওপর দিয়ে পাঠালেন বাউন্ডারির ওপারে।
ঠিক যেন শারজাহর সেই মিয়াঁদাদ। ভারতের চেতন শর্মার জায়গায় সিলেটের তরুণ তোফায়েল। সিলেট দল সেদিনকার ভারতের আক্ষেপটা এবার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
জয়ের ক্ষেত্র তৈরী হয় আরিফুল ইসলামের ঝড়ো ৯৪ রানের ইনিংসে। যার সামনে বৃথা যায় জিসান আলমের সেঞ্চুরি। আর শেষটা রাঙিয়ে দেন শুভাগত হোম, বাংলাদেশের নিজস্ব ম্যাচ ফিনিশার।
সময়ের চাহিদা মিটিয়ে ১৮ বল খেলে ৩১ রান করেন। দুটি ছক্কা আর দুটি চারে সাজানো ইনিংস, ছবির মত সুন্দর এক ম্যাচ ফিনিশিং নক।
অথচ, তিনি কত বড় ম্যাচ ফিনিশার হতে পারতেন, ক্যারিয়ার জুড়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সেটা টের পায়নি একদমই। বাংলাদেশ দলও তাকে লম্বা সময় সুযোগ দিয়ে দেখেনি। সেই আক্ষেপ যতটা শুভাগতর, ঠিক ততটাই বাংলাদেশের।