লেফট উইং থেকে স্যামুয়েল লিনো আলতো টোকায় পাস বাড়ালেন জুলিয়ান আলভারেজের দিকে; আত্মবিশ্বাসী আলভারেজ শুরুতেই বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেন। এরপর ঠিক বক্সের ভিতর থেকে কার্ল শট, একেবারে টপ কর্নার অঞ্চল দিয়ে গোল – স্লোভান ব্রাতিসলাভার গোলরক্ষকের দেখা ছাড়া কিই-বা করার ছিল।
গত ট্রান্সফার উইন্ডোতেই ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন এই আর্জেন্টাইন। শুরুর দিকে কিন্তু লা লিগায় মানিয়ে নিতে পারেননি তিনি, তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চিরচেনা সুর বেজে উঠলেই রক্তে নাচন উঠে তাঁর।
পরিসংখ্যানও বলছে একই কথায়, লিগে ১৬ ম্যাচ খেলেও মাত্র পাঁচ গোল করেছেন এই স্ট্রাইকার। অথচ ইউরোপীয় মঞ্চে ছয় ম্যাচ খেলতেই তাঁর নামের পাশে চারটা গোল জমা হইসে। টুর্নামেন্টে অ্যাতলেটিকো এখনো যে স্বস্তির অবস্থানে আছে, সেটার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি।
যদিও অ্যান্টনি গ্রিজম্যান ছায়া হয়ে যাচ্ছেন, আজকাল তাঁকে নিয়ে সেরকম আলোচনা হয় না বললেই চলে। অথচ পারফরম্যান্সের বিচারে দলের সেরা তারকা তো বটেই, ফুটবল বিশ্বেরও নজর থাকবে তাঁর উপর। এই যেমন, স্লোভানের বিপক্ষে দুই দুইটা গোল করেছেন তিনি কিন্তু আলভারেজের একটা গোল সব লাইমলাইট নিয়ে নিয়েছে।
এদিন বিরতির ঠিক আগে রাইট উইং থেকে আসা নাহুয়েল মলিনার ক্রসে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়ান এই ফরাসি ফরোয়ার্ড। তাতেই টানা পাঁচ ম্যাচে গোল করার বিরল কীর্তি যোগ হলো তাঁর ঝুলিতে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে প্রতিপক্ষের কফিনে আরো একটা পেরেক ঠুকে দেন তিনি, শেষমেশ এটাই যথেষ্ট হয়েছে জয়ের জন্য।
এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুর তিন ম্যাচের দুইটিতে হেরে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। কিন্তু এরপর থেকেই দুর্ধর্ষ এক প্রত্যাবর্তনের কাব্য রচনা করে তাঁরা, এখন তো পয়েন্ট টেবিলে সেরা দশের একেবারে কাছে পৌঁছে গিয়েছে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে টপ এইটেও জায়গা হয়ে যেতে পারে তাঁদের।