বেদনার রং নীল নাকি অন্য কিছু, উত্তরটা বোধহয় সবচেয়ে ভাল দিতে পারবেন সায়িম আইয়ুব। একই ম্যাচে পরপর দুইবার হৃদয় ভেঙেছে তাঁর, হাত ছোঁয়া দূরত্বে এসেও প্রত্যাশিত লক্ষ্য ছোঁয়া হয়নি। প্রথমে ব্যাট হাতে, পরবর্তীতে দল হিসেবে তীরে এসে তরি ডুবিয়েছেন তিনি।
এদিন ওপেনিংয়ে নেমে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই বাঁ-হাতি, খেলেছেন ৫৭ বল। আর এসময় তাঁর ব্যাট থেকে এসেছেন ৯৮ রান! স্রেফ দুই রানের জন্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পাননি তিনি। সেজন্য অবশ্য ভাগ্যের দায়টাই সবচেয়ে বেশি, ইনিংসের শেষ নয় বলের একটাতেি স্ট্রাইক প্রান্তে থাকতে পারেননি তিনি।
তবে এই তরুণ যতক্ষণ ব্যাট করেছেন ততক্ষণ মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। তাঁর শট, তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরন রোমাঞ্চিত করেছে দর্শকদের। সবমিলিয়ে পাঁচটি ছক্কা এবং এগারোটি চারে সাজানো এই ইনিংসটি তাই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স বললেও দ্বিমত করার কিছু থাকবে না।
কিন্তু সায়িমের জ্বলে উঠার দিনে লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছেন আরেক ওপেনার রেজা হেন্ড্রিকস। তিনি অবশ্য আক্ষেপের আগুনে পুড়েননি, ৬৩ বলে ১১৭ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। আর তাতেই পাকিস্তানের ২০৭ রানের বিশাল টার্গেট সহজেই টপকে গিয়েছে প্রোটিয়ারা।
শুরু থেকেই এই ডানহাতি ছিলেন আক্রমণাত্মক, ২৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। এরপর আক্রমণের ধার আরো বাড়ে, পরের ৫০ রান করতে তাঁর লেগেছে মাত্র ২১ বল – স্রেফ ধ্বংসলীলা।
এই ব্যাটারের ১১৭ রানের পাশাপাশি বলতে হয় ভ্যান ডার ডুসেনের ৬৬ রানের কথাও। তিনটা চারের সঙ্গে পাঁচটা ছয়ের মারে সাজানো ইনিংসের কারণেই চাপে পড়েননি হেন্ড্রিকস।
শেষপর্যন্ত বিশতম ওভারে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচের হার ঠেকাতে পারলো না তাঁরা। এর মধ্য দিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হেরে বসেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।