দিন দশেক পরেই তার বয়সটা দাঁড়াবে ২৫ এর কোটায়। কিন্তু তোফায়েল আহমেদ নামটা বড্ড অপরিচিত দেশের ক্রিকেটে। তবে দেরিতে হলেও যেন ফুটছে তার পারফরম্যান্সের ফুল। চলতি এনসিএল টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিতই।
চট্টগ্রামের বিপক্ষে সাত রান দুই উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতেও করেছিলেন ১৪ রান, তবে দলের হার এড়াতে পারেননি। রংপুরের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সিলেট। মাত্র ৭১ রানেই সাজঘরে ফিরেন ছয় ব্যাটার। তবে ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত ডানা ঝাপটালেন তোফায়েল।
কাউন্টার অ্যার্টাক করে বলগুলো করলেন সীমানা ছাড়া। আবু জায়েদকে নিয়ে করলেন অপরাজিত ৪৯ রানের জুটি। নট আউট থেকেই ক্রিজ ছাড়লেন ৫১ রানে। যাতে আছে পাঁচটা বাউন্ডারি আর তিনটা ছক্কার মার। পুরাদস্তুর ব্যাটার রূপেই যেন এদিন বাইশ গজে আর্বিভাব হয়েছিলেন তিনি।
বল হাতেও ২ ওভারে ১১ রান খরচায় নিয়েছেন একটি উইকেট। যদিও হারের বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি। এদিনও হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে তাদের। সিলেট দলটায় তারকার ছড়াছড়ি। তাইতো প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অভিষেক হতে অপেক্ষা করতে হল এতবছর। ২০২৪ সালেই জাতীয় ক্রিকেট লিগে সুযোগ পেয়ে দুইহাতে তা লুফে নিয়েছেন তিনি।
সিলেটকে এনে দিয়েছেন প্রথম জাতীয় লিগ শিরোপার স্বাদ। খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ, তানজিম হাসান, রেজাউর রহমানের মতো পেসারদের ভিড়ে ঠাই হয়নি এতদিন তার। তবে সব বাঁধা ডিঙিয়ে বেশ সাবলীল ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বলে গতি আছে, সুইংটাও করাতে পারেন। দলের প্রয়োজনে ব্যাট হাতে খেলতে পারেন ক্যামিও ইনিংসও। ফিল্ডিংটাও বেশ ভালোই করেন তিনি। হোক তোফায়েল শেষ বিকেলের সূর্য, রঙিন আভা যে আশ্বাস দিচ্ছে, স্বপ্ন দেখাচ্ছে, দ্যুতি ছড়াচ্ছে। পেস বোলিং অলরাউন্ডারের স্বপ্নটা যে চির অধরা। শুধু ধরে রাখতে হবে এ ঝলক, ধুপ করেই হারালে চলবে না। কেননা অধরা স্বপ্নের যে হারিয়ে যাওয়া বারন।