এনজো ফার্নান্দেজ, ব্লুজদের প্রাণভোমরা

এককথায় বলতে গেলে, এনজোর এখন সোনালী সময় চলছেই। কিং মিডাস যেভাবে কোন বস্তু স্পর্শ করলেই সোনায় রূপ নিতো তিনিও যে ম্যাচ খেলছেন সেখানেই গোল বা অ্যাসিস্ট করছেন।

নিজেদের অর্ধে হুট করে বলের দখল পেয়ে যায় চেলসি, সেখান থেকে পাস দিয়েই প্রতিপক্ষের রক্ষণব্যূহ ভেঙে দেন এনজো ফার্নান্দেজ। ডানদিক দিয়ে নিকোলাস জ্যাকসনকে পুরোপুরি ফাঁকা করে দেন তিনি, বাকি কাজ জ্যাকসন একাই করেছেন। দৌড়ে ডি বক্সে ঢুকেই শট এবং গোল।

এককথায় বলতে গেলে, এনজোর এখন সোনালী সময় চলছেই। কিং মিডাস যেভাবে কোন বস্তু স্পর্শ করলেই সোনায় রূপ নিতো তিনিও যে ম্যাচ খেলছেন সেখানেই গোল বা অ্যাসিস্ট করছেন। এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ছয় ম্যাচ স্কোরবোর্ডে নাম উঠেছে তাঁর। তাঁকে চেলসি মিডফিল্ডের প্রাণভোমরা বললে আপত্তি করার মত কাউকে পাওয়া যাবে না আসলে।

শুধু গোল বা অ্যাসিস্টের জন্য নয়, খেলা নিয়ন্ত্রণ করার মুন্সিয়ানাও দেখিয়েছেন এই তরুণ। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচেই তো তিনটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন তিনি। এছাড়া চারটা সফল লং বল দিয়েছেন, কি পাসও দিয়েছেন চারট

এর আগে অবশ্য গোলের খাতা খুলেছিলেন মার্ক কুকুরেলা। ২০২২ সালের মে মাসে গোল করার পর গত দুই বছরের বেশি সময় প্রিমিয়ার লিগে জালের দেখা পাননি তিনি। তাঁর সেই গোল খরা কেটেছে এদিন, ননি মাদুয়েকের ক্রস থেকে হেডারে মার্ক ফ্লেককেনকে ফাঁকি দেন এই স্প্যানিশ।

যদিও নব্বই মিনিটের মাথায় ব্রেন্টফোর্ড এক গোল শোধ দিয়েছিল, তবে কাজের কাজ হয়নি। শেষপর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্লুজরা। এর ফলে টেবিল টপার লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান কমে আসলো তাঁদের, এক ম্যাচ বেশি খেলে মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে আছে তাঁরা।

কিন্তু ফলাফল চাপিয়ে আলোচনায় ম্যাচ শেষে সৃষ্ট ঝামেলা। সময় নষ্ট করাকে ঘিরে কুকুরেলার সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন কেভিন স্কোয়াড, দু’জনেই হজম করেন একটা করে হলুদ কার্ড। কিন্তু স্প্যানিশ লেফটব্যাকের আগের একটা হলুদ কার্ড থাকায় লাল কার্ড দেখেন তিনি।

Share via
Copy link