চার ওভারে প্রতিপক্ষের জয়ের জন্য প্রয়োজন মাত্র ২৮ রান। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছে সাত রানের ব্যবধানে। অথচ উইকেটে ছিলেন অর্ধশতক হাঁকানো রভম্যান পাওয়েল। তার সঙ্গী হিসেবে ছিলেন রোমারিও শেফার্ড। পেশিশক্তির ব্যবহারে এদের জুড়ি মেলা ভার।
তবুও তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদরা নিজেদের উপর আস্থা রাখলেন। পরিকল্পনার ছক কষলেন বেশ বুঝে-শুনে। তরুণ তানজিম হাসান সাকিবের দিনটা অবশ্য বড্ড বাজে কেটেছে। তবে ডেথ ওভারে তিনিও ছিলেন দূর্দান্ত। নিজের কাজটা যথাযথভাবে করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগা সাকিব আট রান দিয়ে বসেন ১৯ তম ওভারে।
তবে এর আগে রিশাদ হোসেন ১৭ তম ওভারে তিনটি ডট বল আদায় করে নেন। যদিও একটি ছক্কা হজম করতে হয়েছে এই লেগস্পিনারকে। মোট ৮ রান দিয়েছেন তিনি। রিশাদ ও সাকিবদের বাঁচিয়েছেন সাথে ম্যাচের ভাগ্য বদলেছেন তাসকিন আর হাসান। ১৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ২০ রান।
১৮ তম ওভার করতে এসেই তাসকিন প্রথম বলে প্যাভিলিয়নে ফেরান রোমারিও শেফার্ডকে। জয়ের আশা তখন নিভু নিভু প্রদীপ হয়ে জ্বলছে। দুই রান খরচা করা তাসকিন সেই প্রদীপের উজ্জ্বলতা বাড়ালেন বটে। বেশ বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছেন। বলের গতি আর লাইন ও লেন্থ ক্রমাগত পরিবর্তন করে গেছেন। নতুন ব্যাটার আলজারি জোসেফকে ক্রিজের ভেতরই আটকে রেখেছিলেন।
শেষ বলে রভম্যান পাওয়েলও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ তম ওভারে সাকিব ৮ রান হজম করলে ম্যাচ আবার ঝুকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিকে। কিন্তু হাসান ঠিকই দেখিয়ে দেন নিজের মুন্সিয়ানা। তার পরিকল্পনা ছিল স্পষ্ট- কোনভাবেই পাওয়েলের ব্যাটের কাছে দেওয়া যাবে না বল। ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের পেশিতে বয়ে যায় দানবীয় শক্তি।
সেটা ভাল করেই জানা হাসানের। ওয়াইড লাইন ধরে বল করে গেলেন তিনি। সফলতা এলো দ্বিতীয় বলে। রভম্যান পাওয়েল তখন প্যাভিলিয়নে। শেষ ব্যাটার হিসেবে আলজারি জোসেফ বোল্ড হয়ে ফিরেছেন সাজঘরে। শেষ চার ওভারে ২৮ রান ডিফেন্ড করা মোটেও সহজ কাজ নয়।
বাংলাদেশের বোলাররা তবুও অসাধ্য সাধন করেছেন বটে। পাওয়েল একা হাতেই ম্যাচটা ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন। তাকেও খোলস বন্দী করে ফেললেন। শুরুর ইতিবাচক বোলিং শেষের দিকে ফিরে আসে। হারতে থাকা ম্যাচটাও টাইগাররা জিতেছে বোলারদের কল্যাণে। তাইতো বিজয়ের দিনে বিজয়ের হাসি হেসেছে গোটা দল।