জাদেজা ভারতকে দিয়েছেন নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ

জাদেজা ফলোঅন এড়ানোর কাজটা শেষ করতে পারেননি বটে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করে ম্যাচ বাঁচানোর একটা সুযোগ অন্তত ভারত পেয়ে গেল। 

গ্যাবা টেস্টে ভারতকে লড়াই করার সুযোগটুকু তৈরি করে দিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। দলের ফলোঅন এড়ানোর দায়িত্ব তার কাঁধেই ছিল ন্যাস্ত। তিনি সে কাজটা শেষ করতে পারেননি বটে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করে ম্যাচ বাঁচানোর একটা সুযোগ অন্তত ভারত পেয়ে গেল।

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় লজ্জার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিল ভারত। একটা পর্যায়ে ইনিংস ব্যবধানে পরাজয়ের শঙ্কাও ছিল প্রবল। কিন্তু সেই শঙ্কাকে নিজের ব্যাটের প্রহারে মেঘের ভেলায় ভাসিয়েছেন জাদেজা। দায়িত্বশীল ইনিংসের যথার্থ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তিনি।

অথচ বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির প্রথম দুই টেস্টের একাদশে ছিলেন না জাদেজা। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে ভারতের কাছে বিকল্প রয়েছে। তাইতো অন্যদের বাজিয়ে দেখেছিল ভারত। কিন্তু ব্রিসবেন টেস্টে জাদেজার উপরই ভরসা রাখে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সেই ভরসাকে মিথ্যে হতে দেননি বা-হাতি এই অলরাউন্ডার।

৭৭ রানের একটা ইনিংস খেলেছেন। চতুর্থ দিনের শেষবেলায় ফলোঅন এড়ানোর কাজটা দ্রুতই করতে চাইলেন তিনি। সে কাজটা করতে আগ্রাসী শট খেলার বিকল্প ছিল না জাদেজার সামনে। তিনি তেমনই এক শট খেলতে গিয়ে আউট হয়েছেন প্যাট কামিন্সের বলে।

ফলো অন থেকে ৩৩ রান দূরে থাকতে আউট হয়েছেন জাদেজা। তাতে করে নিশ্চিত পরাজয়ের ম্যাচকে ঠেলে দেওয়া গেছে ড্রয়ের দিকে। কেননা বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় টেস্টে অধিকাংশ সময় খেলা ছিল বন্ধ। পরাজয় এড়ানোর জন্যে ভারতকে স্রেফ কালক্ষেপণ করতে হতো। সে কাজটা করেছেন জাদেজা। ১২৩টি বল তিনি খেলেছেন।

অজি পেসারদের দাপটকে সামলে নিয়েছেন, নাথান লিঁওর ঘূর্ণি সামলেছেন দক্ষ হাতে। ৪৪ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। এরপর ৭৪ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে। লোকেশ রাহুল বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ৮৪ রানের ইনিংস খেলে তিনিও বিদায় নিয়েছেন।

এরপর লেজের দিকের ব্যাটারদের আগলে রেখে ব্যাটিংটা করতে হতো জাদেজাকে। যদিও নিতিশ কুমার রেড্ডির সাথে ১০৪ বলের একটা জুটি গড়েছিলেন। যতটা সম্ভব নিজেদের ব্যাটিং ইনিংসের সময় বাড়িয়েছেন জাদেজা। তাতে করে অজিদের ম্যাচ জেতার সময় কমেছে।

পরাজয় থেকে ড্র অন্তত ভাল ফলাফল। সে পথেই এগিয়েছে ভারত। আর ভারতের তরীকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন রবীন্দ্র জাদেজা। ২২ তম হাফসেঞ্চুরিতে দলকে বাঁচানোর স্বস্তি নিয়েই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে জাদেজাকে। গোটা দলকে খানিক স্বস্তি দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ প্রাপ্য জাদেজার।

Share via
Copy link