মাহফুজুর রহমান রাব্বি, নামটা মনে রাখুন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ব্যাটে-বলে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। প্রায় অবিশ্বাস্য এক রুপকথাই লিখতে যাচ্ছিলেন তিনি চলমান এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে। ৩৯ বলে করেছেন ৮২ রান। ছক্কা মেরেছেন ৭ টা, চার মেরেছেন তিনটা।
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় তার দল হেরেছে মাত্র ১ রানে। শেষ ওভারে সিলেটের প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। শহিদুল ইসলামের প্রথম বলেই ওয়াইড লং অন দিয়ে হাঁকালেন বিশাল ছক্কা। দুই নম্বর বলটা টাইমিং হলনা, সিংগেল না নিয়ে স্ট্রাইকটা নিজের হাতেই রাখলেন তিনি।
তিন নম্বর বলে আবার ছক্কা, চার নম্বর বলে দুই রান। শেষ দুই বলে সমীকরণটা দাঁড়ালো দুই বলে ১০ রানের। শেষ ওভারের পঞ্চম বলটা ডিপ এক্সটা কাভারের উপর দিয়ে আরেক ছক্কা। শেষ বলটাতে আসলো দুই রান, মাত্র ১ রানের হারটাও সঙ্গী হল তার।
১৫৭ রানের টার্গেটটা চেজ করতে নেমে ৭৩ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় সিলেট। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকেই সিলেটকে টেনে তুলেন তিনি। আলিস ইসলামকে ছক্কা দিয়ে শুরু। মাঝে রাকিবুল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, শহিদুল ইসলামদের পাত্তাই দেননি রাব্বি। পুরো ম্যাচে ব্যাট বল হাতে দারুন পারফর্ম করা রনিকে দুই চার আর এক ছক্কা মেরে জানিয়ে দিলেন পাওয়ার হিটিংটা তার কাছে হাতের মোয়া। লো স্কোরিং ম্যাচেও ডট মোটে সাতটা।
বয়সটা সবে ১৯, এরমধ্যেই লিস্ট এ, প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অলরাউন্ডিং পারফর্ম করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এ দল বা হাইপারফরমেন্স ইউনিট সেখানেও পারফরম্যান্সটা বেশ উজ্জ্বল তার। যদিও অনেক পরিচর্যা আর সঠিক গাইডলাইনের দরকার রাব্বির। তারমধ্যে সাকিব আল হাসানের প্রতিচ্ছবিও দেখছেন অনেকে।
এখন দেখা যাক, রাব্বি আর দেশের ক্রিকেট বোর্ডের যুগলবন্দীটা কতদূরে গড়ায়। এবারের মত ট্রাজিক হিরো যেন তাকে না হতে হয় সেই কামনায় হয়ত পুরো বাংলাদেশের।