স্রেফ দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়নি সায়িম আইয়ুবের, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাই আক্ষেপের আগুনে পুড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে আক্ষেপ স্থায়ী হয়নি, প্রথম ওয়ানডেতেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। তবে তাঁর পারফরম্যান্সকে কেবল ‘সেঞ্চুরি’র মানদণ্ডে বিচার করলে হবে না, ম্যাচের প্রেক্ষাপটে এটা রীতিমতো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণী ইনিংস।
সাম্প্রতিক সময়টা পাক তরুণ অবশ্য স্বপ্নের মত কাটাচ্ছেন। জাতীয় দলের হয়ে শেষ দশ ইনিংসে মাত্র একবারই তিনি আউট হয়েছেন ১১ রানে, বাদ বাকি প্রতিটা সময় ইম্প্যাক্টফুল ছিলেন। তাঁর আসলে ক্যারিয়ারের বসন্ত চলছে এখন।
যদিও এদিন সালমান আঘার সরব উপস্থিতি না থাকলে অনেকটাই ম্লান হয়ে যেত সায়িমের বীরত্ব। ব্যাটে, বলে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দেখিয়ে ম্যাচের গতিপথ প্রায় একাই নির্ধারণ করে দিয়েছেন সালমান। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচ সেরার পুরষ্কার উঠেছে তাঁর হাতে।
এই তারকা কি করেননি? যখন যেভাবে ক্যামেরার সামনে এসেছেন তখনই সোনা ফলিয়েছেন। শুরুটা হয়েছিল বল হাতে; নিয়মিত বোলাররা যখন বল হাতে উইকেট পেতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তিনি তখন একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের লাগাম টেনে ধরেন।
টনি ডি জর্জি, রায়ান রিকেলটন, ভ্যান ডার ডুসেন আর ট্রিস্টান স্টাবসকে ঝুলিতে পুরেন এই অফ স্পিনার। অর্থাৎ প্রতিপক্ষের টপ ফাইভ ব্যাটারের চারজনকেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়। ২৪০ রান তাড়া করতে নেমে ৬০ রানের মাথায় চার উইকেট হারিয়ে বসে তাঁরা, সেটাও আবার বিশতম ওভারে। সেখান থেকে দলের হাল ধরেন সায়িম আর সালমান। তাঁদের ১৪১ রানের জুটিতেই জয়ের ভিত পায় সফরকারীরা।
শতক হাঁকানোর পর এই ওপেনার আউট হলেও দলকে পথ হারাতে দেননি পাক অলরাউন্ডার। নাসিম শাহয়ের সঙ্গে অপরাজিত ৩৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তিনি। তাঁদের মত দলের বাকিরাও এগিয়ে আসুক সেটাই এখন প্রত্যাশা পাকিস্তানের।