কম্প্যাক্ট বোলিংয়ে ঐতিহাসিক ‘বাংলাওয়াশ’

জাকের আলি অনিক খেলেছেন অনবদ্য এক ইনিংস। সেই ইনিংসের কল্যাণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। তাই বলে যে টাইগার বোলাররা হাল ছেড়ে দেবেন তা তো নিশ্চয়ই হতে পারে না। 

আগের দুই ম্যাচের মত বোলারদের উপর ততটাও চাপ ছিল না তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে। জাকের আলি অনিক খেলেছেন অনবদ্য এক ইনিংস। সেই ইনিংসের কল্যাণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। তাই বলে যে টাইগার বোলাররা হাল ছেড়ে দেবেন তা তো নিশ্চয়ই হতে পারে না।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির মত এদিনও উইকেট শিকারের যাত্রা শুরু করেন তাসকিন আহমেদ। শেষটাও হয় তার হাত ধরে। মাঝে বল হাতে যে এসেছেন সেই উইকেট বাগিয়েছেন। বিশেষ করে শেখ মেহেদী হাসান। গোটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ জুড়েই বল হাতে দূর্দান্ত ছিলেন মেহেদী।

টানা তৃতীয়বার তিনি আউট করেছেন নিকোলাস পুরানকে। এছাড়া পেস বিপ্লব এখনও সজীব। শুধু স্পিনারদের ভরসাতে এখন আর ম্যাচ জেতে না বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ এদিন বল হাতে ছিলেন অসাধারণ। বোলিং প্রান্তে আসা মাত্রই তিনি বলে দারুণ মুভমেন্ট করাতে শুরু করেন। তার বল খেলতে গিয়ে রীতিমত দ্বিধান্বিত থেকেছে ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা।

তানজিম হাসান সাকিবের পকেটেও গিয়েছে একটি উইকেট। বেশ আগ্রাসন নিয়ে বোলিং করেন তিনি। কিন্তু গোটা টি-টোয়েন্টি সিরিজ মোটেও বল কাটেনি তার। পুরো সিরিজ জুড়ে তিনি রান হজম করেছেন। তবে বাকিরা তার খারাপ দিনের উপর দিয়েছে প্রলেপ।

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট গিয়েছেন রিশাদ হোসেনের পকেটে। তরুণ এই লেগ স্পিনারের উপর প্রচণ্ড ভরসা রাখছে টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই আস্থার প্রতিদান দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাই করছেন রিশাদ।

সিরিজটা আগেই জিতে নিয়েছিল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম দুই জয়ে বোলারদের অবদানই ছিল অগ্রভাগে। তবে তারা বরং একটু স্বস্তি পেয়েছেন তৃতীয় ম্যাচে। পুরো সিরিজে প্রায় প্রতিটা বোলারই লাইন ও লেন্থ মেনে নিজেদের কাজটা করে গেছেন ধারাবাহিকভাবে।

ঠিক সে কারণেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদেরই হোয়াইট ওয়াশ করা গেছে। এমনকি টি-টোয়েন্টি এই প্রথম বিদেশের মাটিতে সিরিজের সব ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ বড্ড দূর্বল। র‍্যাংকিংয়ে চারে থাকা দলের বিপক্ষে এমন দাপুটে সিরিজ জয় সম্ভব হয়েছে বোলারদের টিমওয়ার্কের কারণেই।

 

Share via
Copy link