ঝামেলা না করলে বোধহয় এমিলিয়ানো মার্টিনেজের দিন ভাল যায় না; ভাল খেলবেন আবার বিতর্কেও জড়াবেন এটাই তাঁর পরিচয়। এইতো দিন দুয়েক আগে জিতলেন ফিফার সেরা গোলরক্ষকের পুরষ্কার। আর এবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচে জ্যাক গ্রিলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে দেখলেন হলুদ কার্ড। যদিও দিনশেষে জয়টা এসেছে তাঁর ঘরেই।
প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া মানুষটাও খড়কুটো ধরে বাঁচতে চায়, অথচ ম্যানচেস্টার সিটি আঁকড়ে ধরার জন্য একটা খড়কুটোও পাচ্ছে না। যেই আসছে সেই হারিয়ে দিচ্ছে তাঁদের, ঠেলে দিচ্ছে বিপর্যয়ের গভীর থেকে আরো গভীরে। ম্যানচেস্টার ডার্বিতে হারের পর এবার অ্যাস্টন ভিলার কাছেও পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেলো তাঁরা।
ভিলা পার্কে নামার আগেই অবশ্য চাপে ছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, আগের এগারো ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট পেয়েছে মাত্র একবার! এই পাহাড়সম চাপ থেকে আর বেরুতে পারেনি তাঁরা; পারেনি প্রতিপক্ষের সামনে নিজেদের মেলে ধরতে।
ম্যাচের মাত্র ষোল মিনিটের মাথায় স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন জন ডুরান। ইয়োরি তিয়েলেম্যান্সের দুর্ধর্ষ একটা পাস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে যান মরগ্যান রজার্স। নিজেই গোল করতে পারতেন, তবে নিঃস্বার্থ রজার্স বল ঠেলে দেন ডুরানের দিকে। এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে সাত গোল করে ফেলেছেন কলম্বিয়ান স্ট্রাইকার, আর শুরুর একাদশে ছিলেন এমন ছয় ম্যাচের চারটিতেই পেয়েছেন জালের দেখা।
সিটিজেনদের নির্বিষ খেলার মাঝেই পুনরায় আঘাত হানেন রজার্স। তবে এবার আর সতীর্থদের দিয়ে নয়, বরং নিজেই গোল করেন। ম্যাচের ফলাফলে পরিবর্তন আনতে না পারলেও চলতি মৌসুমে নিজের প্রথম লিগ গোল আদায় করে নেন ফোডেন। স্যাভিনহো ম্যাজিক আর খানিকটা ভাগ্যের সহায়তায় জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।
শেষমেশ ২-১ গোলেই জয় পায় অ্যাস্টন ভিলা। আর তাতে ম্যানসিটিকে পিছনে ফেলে টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে আসলো তাঁরা – তবে এখন প্রশ্নটা সিটিকে ঘিরে। আর কত নিচে নামবে দলটা, আর কত হারবে?