এমন দৃশ্য তো আর সচরাচর দেখা মেলে না। কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে পুরো সিলেট শহর। সেই কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বাবা তাসকিন আহমেদ ছুড়ছেন বল। ছেলে তাশফিন আহমেদ নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়েই চালাচ্ছেন ব্যাট। পরবর্তী প্রজন্মের মাঝেও ক্রিকেটে উন্মাদনা ছড়িয়ে দিচ্ছেন যেন তাসকিন। তবে পিতা-পুত্রের এমন দৃশ্য শীতের দিনেও ছড়িয়েছে উষ্ণতা।
এদিন অনুশীলনে সবার আগে দুর্বার রাজশাহী হাজির। তবে ঘন কুয়াশার মাঝে সবার আগে অনুশীলন করলেন তাশফিন। না, এখন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করবার ঢের খানিকটা সময় বাকি। কিন্তু বাবার সাথে, বাবার দলের অনুশীলনে এসেছেন তাশফিন।
সামনেই ব্যাট-বল, বাবাকে প্রতিনিয়ত দেখছেন ক্রিকেট মাঠ দাপিয়ে বেড়াতে। তারও নিশ্চয়ই ইচ্ছে জাগে ব্যাট-বলের খেলায় মেতে উঠতে।
তাই তো একজন টিম বয়কে সাথে নিয়ে তিনি নেমে পড়লেন অনুশীলন নেটে। ছোট্ট তাশফিন সম্ভবত ব্যাটার হবেন। ব্যাটিং করতেই তার স্বাচ্ছন্দ্য। তখনও বাবা অনুশীলনের মাঠে নামেননি। তাশফিনের পক্ষে যতটুকু সম্ভব ছিল, তিনি শট চালিয়েছেন। ছেলেকে ক্রিকেটে মেতে উঠতে দেখে বাবাও হাজির হলেন।
সময়ের অন্যতম পেসার তার ছেলেকে বল ছুড়েছেন। এমনকি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিলেন। ছক্কা হাঁকিয়ে বাবার চ্যালেঞ্জ উৎরেও গেছেন ছোট্ট তাশফিন। বেশ একটা উষ্ণ আবহাওয়া ছেয়ে গেছে সিলেট আউটার লাগোয়া অনুশীলন নেটে।
বাবা-ছেলের হাস্যজ্জ্বল সময়টুকু যেন কুয়াশা-ভেদী সূর্যরশ্মি। আলসেমির আড়মোড়া ভেঙে জাগিয়ে তোলা দারুণ অনুভূতি।