অবিশ্বাস্য, চোখে ধাঁধা লেগে যাওয়ার মতন নাটকীয়তা; চেলসি তখন পিছিয়ে এক গোলে, ম্যাচের অতিরিক্ত সময় চলমান। প্রায় পঁচিশ গজ দূরে ফ্রি কিক পায় চেলসি এবং অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরা রিচ জেমসের বাঁকানো শট খুঁজে নেয় জালের ঠিকানা – ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট আসলে।
তবে রিচ জেমসের গোল স্রেফ এই কারণে বিশেষ, সেটা কিন্তু নয়। আপনি শেষ কবে তাঁকে প্রিমিয়ার লিগে দেখেছেন? চোটের একের পর এক আঘাতে তিনি তো মাঠেই নামতে পারেননি ঠিকঠাক মতন। প্রায় দুই মাসের বিরতি কাটিয়ে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি, তাঁর প্রত্যাবর্তন অবশ্য এর চেয়ে সুন্দর হতে পারতো না।
যদিও শেষ মুহূর্তে ড্র পেয়েও সন্তুষ্ট হয়নি দ্য ব্লুজের সমর্থকেরা, ম্যাচের এগারো মিনিটের মাথায় কোলে পালমারের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। অথচ এরপর উল্টো পিছিয়ে পড়তে হয়েছিল তাঁদের।
প্যাটট্রিক ক্লুইভার্টের ছেলে জাস্টিন ক্লুইভার্ট প্রথমবারের মত বোর্নমাউথকে লড়াইয়ে ফেরান, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাঁর গোল দু’দলের পার্থক্য ঘুচিয়ে দেয়। কিছু সময় পর অ্যান্টনি সেমেন্যো গোল করে চেলসিকে ছিটকে ফেলেন খাদের কিনারায়। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া হয়নি, ইংলিশ রাইটব্যাকের দুর্ধর্ষ এক সেটপিসে সংগ্রামের এক পয়েন্ট পেয়েছে লন্ডনের ক্লাবটি।
এমন ফলাফল অবশ্য নতুন কিছু নয়, লিগে সবশেষ পাঁচ ম্যাচেই হোঁচট খেয়েছে তাঁরা। কোলে পালমার তবু চেষ্টার কমতি রাখছেন না, এ পাঁচ ম্যাচেই তো তিন গোল করেছেন তিনি। তবু দলকে বাঁচাতে পারছেন না। একই অভিজ্ঞতা এনজো ফার্নান্দেজেরও, পারফর্ম করেও তাই মিলছে না স্বীকৃতি।
একটা পর্যায়ে লিভারপুলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়ার মত সামর্থ্য ছিল কেবল চেলসির। অথচ এখন সেরা চারে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যস্ত তাঁরা, দ্রুত এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে কপালে দুঃখ আছে তাঁদের।