প্রাণবন্ত রোহান দিচ্ছে বার্তা, বাবা নবীর পথেই হবে যাত্রা

সিল্কি চুলের ক্ষুদে ব্যাটার। সাগরিকরার উজ্জ্বল আলোকেও যেন হার মানায় তার হাসি। সে কে?

সিল্কি চুলের ক্ষুদে ব্যাটার। সাগরিকরার উজ্জ্বল আলোকেও যেন হার মানায় তার হাসি। সে কে? এমন প্রশ্ন হওয়াও স্বাভাবিক। আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ নবীর ছোট ছেলে রোহান ইসাখিল ছিল অনুশীলনের কেন্দ্রীয় আলো।

আফগানিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম পথিকৃৎ মোহাম্মদ নবী, এবার খেলছেন ফরচুন বরিশালের হয়ে। দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান চট্টগ্রামের ঘরের ছেলে। আতিথেয়তায় কমতি খান সাহেবরা কখনোই রাখেনি। আর ফরচুন বরিশাল দলের অলিখিত হর্তাকর্তা তো তামিমই। খুব সম্ভবত সে কারণেই পরিবারকে চট্টগ্রামে উড়িয়ে এনেছেন মোহাম্মদ নবী।

বাবা অনুশীলনে যাবেন আর ছেলে নিশ্চয়ই হোটেল রুমে বসে থাকবে না। তাইতো ক্ষুদে রোহানও পা রাখেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ফরচুন বরিশাল দলটায় তারকায় ঠাসা। কিন্তু আশানুরূপ দাপট এখনও দেখাতে পারেনি দলটি। চট্টগ্রামে তাই পূর্ণ শক্তির একটা ঝলকানিই দেখাতে চাইবে নবী-তামিমরা। ঠিক এ কারণেই অনুশীলনে পূর্ণ মনোযোগ সকলের।

রোহানও মনোযোগ দিলেন নিজের ব্যক্তিগত অনুশীলনে। বাবা ডান-হাতি হলেও, ছেলে বাঁ-হাতি ব্যাটার হওয়ার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাট খানা তুলতে বেশ শক্তি ক্ষয় করতে হচ্ছে রোহানের। এখনও যে বলিষ্ঠ হয়নি বাহুগুলো। তবে বাবার দেখানো পথেই হয়ত হাঁটবেন তিনি। রোহানের প্রাণবন্ত ব্যাটিং অন্তত সে বার্তাই দেয়।

আফগানিস্তানের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশটা ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছে নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর অন্যতম অবলম্বন হিসেবে। সে রাস্তাটা তৈরি করে দিয়েছেন মোহাম্মদ নবীর মত ক্রিকেটাররা। শত প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে তারা ক্রিকেটকে আকড়ে ধরেছেন। আর সেই ত্যাগের ফলাফল পেতে শুরু করেছে আফগানিস্তানের নতুন প্রজন্ম। সেই প্রজন্মের একজন তো রোহান নিজেও।

বাবার তৈরি করে দেওয়া রাস্তা ধরে রোহান হয়ত বিশ্ব ক্রিকেটে একদিন পদার্পণ করবেন। বাবার জুতোয় পা গলাতে হয়ত পারবেন না। কিন্তু বড় ভাই হাসান ইসাখিলের মত নিশ্চয়ই ক্রিকেটকে আপন করে নিতে চাইবেন রোহান। অবশ্য বেশ খানিকটা সময় এখনও রয়েছে ছোট্ট রোহানের হাতে।

Share via
Copy link