আমাদ দিয়ালো – ইউ বিউটি! ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে নিজদের হাজার হাজার দর্শকের সামনে দাঁড়িয়ে যে ঝড় তুলেছেন তিনি তাতে বিস্ময়ে চোখ খুলে আসার মত অবস্থা হয়েছে। রীতিমতো পৌরাণিক চরিত্র হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি, এক ঝটকায় নিজের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন।
ম্যাচের ৮০ মিনিট পেরিয়ে গিয়েছিল ততক্ষণে, সাউদাম্পটন এগিয়ে ছিল এক গোলে। নড়বড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বুঝি হারিয়েই দিলাম, এমন ধারণা খুব সম্ভবত মনে ঢুকে গিয়েছিল সফরকারীদের। ফুটবল বিধাতা নির্ঘাত তখন মুচকি হাসি হেসেছিলেন; এরপরই দিয়ালোর কানে কানে ফিস ফিস করে বলে দিয়েছেন, তোর জাদু দেখিয়ে আয় তো।
৮২, ৯০ আর ৯৪ মিনিট – পরপর তিনটা গোল করে প্রতিপক্ষের নাক আর চোখের পানি বের করে ছেড়েছেন এই তরুণ। প্রথম গোলটা এসেছিল জিরকজির সাহায্যে; তবে সব আকর্ষণ দ্বিতীয় গোল ঘিরে। ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের সঙ্গে তাঁর সমন্বয় ছিল দেখার মতন, রান মেকিং থেকে শুরু করে পাসিং পুরো ব্যাপারটা ছিল একেবারে নিঁখুত মাপঝোঁক।
সবশেষে ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে এসে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই আইভিরিয়ান তারকা। বিপজ্জনক জায়গায় বল কেড়ে নিয়ে একেবারে ফাঁকা পোস্টে বল ঠেলে দেন তিনি – তাতেই তিনি ছুঁয়ে ফেলেন আরাধ্য মাইলফলক।
অথচ ঘরের মাঠে আগের তিন ম্যাচই হেরেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আরো একবার সেই অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি ঘটতে যাচ্ছিলো, তবে রক্ষা যে আমাদ দিয়ালো ছিলেন – তাঁর কাঁধে ভর করে দুর্দান্ত একটা কামব্যাকের স্বাদ পেলো তাঁরা। সেই সাথে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রেড ডেভিলদের পরাজয়ের ধারায় ছেদ পড়েছে।
এই জয়ে একটু হলেও স্বস্তি ফিরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুয়ারে। এফএ কাপে আর্সেনালকে হারানোর পর প্রিমিয়ার লিগে জয় – দলটার ভাল সময় কি তবে ফিরে আসতে শুরু করেছে?