সিপিএলের ৩৩ ম্যাচের সূচি চূড়ান্ত

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ থেকে বাসেতের সেন্ট কিটস নেভিসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিপিএলের নবম আসর। এক ভেন্যুতেই ৩৩ ম্যাচ শেষে সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে পর্দা নামবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। করোনার এই কঠিন সময়ে সবার নিরাপত্তার জন্য বায়ো বাবল নিশ্চিত করে সিপিএলের সব গুলো ম্যাচই আয়োজন করা হবে একটি ভেন্যুতে।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী আগস্ট মাসের ২৮ তারিখ থেকে বাসেতের সেন্ট কিটস নেভিসের ওয়ার্নার পার্ক স্টেডিয়ামে শুরু হবে সিপিএলের নবম আসর। এক ভেন্যুতেই ৩৩ ম্যাচ শেষে সেপ্টেম্বরের ১৯ তারিখে পর্দা নামবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই টুর্নামেন্টের।

টুর্নামেন্টের সব গুলো ম্যাচই এক ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে উইকেটের উপর চাপ পড়বে। তাই উইকেট ঠিক রাখার জন্য একজন পরামর্শদাতাও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যিনি নিউজিল্যান্ডের ইডেন পার্কে ও আইসিসির হয়ে বিভিন্ন জায়গাতে কাজ করেন।

নিজেদের ব্যস্ত সূচিতেও টুর্নামেন্ট আয়োজনে সাহায্য করায় সেন্ট কিটস ও নেভিস সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিপিএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিট রাসেল। করোনার এমন পরিস্থিতিতেও এবারের টুর্নামেন্ট সফল ভাবে আয়োজন করতে আশাবাদী তিনি।

রাসেল বলেন, ‘২০২১ সালের আসর নিশ্চিত হওয়াটা সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ এবং আমি এই বছরের টুর্নামেন্ট আয়োজনে রাজি হওয়ার জন্য সেন্ট কিটস ও নেভিস সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আরো ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের ব্যস্ত সময়ে জায়গা বের করে আমাদের সহায়তা করার জন্য । আমরা ২০২১ সালে আবারও হিরো সিপিএল সফল ভাবে আয়োজন করার প্রত্যাশায় রয়েছি।’

গত বছরও করোনা প্রকোপের ভিতরই বায়ো বাবল নিশ্চিত করে এক ভেন্যুতে সিপিএল আয়োজন করেছিল ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। গত বছর দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও এবার অন্তত ৫০ শতাংশ দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখার সুযোগ পাবেন। কিন্তু শর্ত হলো যে সব দর্শক করোনার টিকা নিবেন তারাই শুধু মাঠে প্রবেশ করার অনুমতি পাবেন।

তবে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের জন্য করোনার টিকা বাধ্যতামূলক করলেও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফের সদস্য ও টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট অন্যদের টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়নি। জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলই তাদের জন্য যথেষ্ঠ বলে মনে করেছেন সিপিএল কর্তৃপক্ষ।

গত বছর করোনার ভিতরই ওয়েস্ট ইন্ডিজই প্রথম জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল নিশ্চিত করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। তাই এবারও সেখান থেকেই অনুপ্রাণিত হচ্ছেন তাঁরা। পিট রাসেল জানিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থা থাকার কারণে টিকার কোন প্রয়োজন নেই এখন।

করোনার কারণে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আলাদা আলাদা জায়গাতে অনুশীলনের সুযোগ করে দেবে সিপিএল কর্তৃপক্ষ। ওয়ার্নার পার্কের পাশের ছয়টি দ্বীপে দল গুলোকে অনুশীলন করার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

সিপিএলের প্রথম আসর অনুষ্টিত হয়েছিল ২০১৩ সালে। এখন পর্যন্ত সিপিএলে সবচেয়ে বেশি চার বার শিরোপা জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। এছাড়া দুই বার করে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস ও জ্যামাইকা তালাওয়াস।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...